খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ৬২ শতাংশ ভোট পড়েছে। প্রায় ৫ লাখ ভোটারের এ নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ৩ লাখ ৬ হাজারেরও বেশি ভোটার। গতকাল খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়র পদের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী। নৌকা প্রতীকে তালুকদার আবদুল খালেককে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন তিনি। ফলাফলের শিট গতকাল নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে পাঠানো হয়েছে। খুলনায় মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। এ ভোটে ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে তিনটি স্থগিত থাকায় বাকি কেন্দ্রগুলোর ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
রিটার্নিং অফিসারের দেওয়া ফলাফলের তথ্য তুলে ধরে নির্বাচন কমিশনের উপসচিব (চলতি দায়িত্ব) ফরহাদ হোসেন জানান, মোট ভোটারের মধ্যে মঙ্গলবার ভোট দিয়েছে ৩ লাখ ৬ হাজার ৬৩৬ জন। সে হিসাবে ভোট পড়ার হার ৬২ দশমিক ১৯ শতাংশ। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে বৈধ ভোট ৩ লাখ ৭১টি; বাতিল ভোট রয়েছে ৬ হাজার ৫৬৫টি। স্থগিত তিনটি কেন্দ্রে ভোট রয়েছে ৫ হাজার ৮৩১টি। সর্বশেষ ২০১৩ সালের নির্বাচনে খুলনায় প্রায় ৬৮ দশমিক ৭০ শতাংশ ভোট পড়ে। সেবার খুলনায় মোট ৪ লাখ ৪০ হাজার ৫৬৬ জন ভোটারের মধ্যে ৩ লাখ ২ হাজার ৫১৯ জন ভোট দেন। বর্তমান ইসির অধীনে গত বছর ৩০ মার্চ কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৬৩ দশমিক ৯২ শতাংশ এবং ২১ ডিসেম্বরের রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৭৪ দশমিক ৩০ শতাংশ ভোট পড়ে।
কে কত ভোট পেলেন : এস এস শফিকুর রহমান (লাঙ্গল) ১,০৭২ ভোট; তালুকদার আবদুল খালেক (নৌকা) ১,৭৪,৮৫১ ভোট; নজরুল ইসলাম মঞ্জু (ধানের শীষ) ১,০৯,২৫১ ভোট; মিজানুর রহমান বাবু (কাস্তে) ৫৩৪ ভোট; মো. মুজাম্মিল হক (হাতপাখা) ১৪,৩৬৩ ভোট। প্রায় ৫ লাখ ভোটারের এ নগরীতে মেয়র পদে প্রার্থী হতে ২০ হাজার টাকা জামানত দিতে হয় প্রার্থীদের। ইসি কর্মকর্তারা জানান, প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ (৩৮ হাজার ৩২৯টি) ভোট না পেলে এ জামানত আর ফেরত পাবেন না সংশ্লিষ্টরা। সেক্ষেত্রে খুলনায় জাপা, সিপিসি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
পৌরসভায় ৮১ শতাংশ ভোট : একই দিন তালোড়া পৌরসভায়ও নির্বাচন হয়েছে। এতে ৮০.৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে। এতে নৌকা প্রতীকে আমিরুল ইসলাম বকুল পেয়েছেন ৪৯১৭ ভোট, ধানের শীষ প্রতীকে আবদুল জলিল খন্দকার পান ৩৬২৫ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম জগ প্রতীকে ৩০৭৭ ভোট পেয়েছেন। ১৪ হাজার ৬৫৬ ভোটারের মধ্যে এ পৌরসভায় ১১ হাজার ৮৪২ ভোট পড়েছে।
