শুক্রবার, ১৭ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

বান্ধবী কি থাকতে পারবে না : শোভন

নিজস্ব প্রতিবেদক

বান্ধবী কি থাকতে পারবে না : শোভন

ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন কি বিবাহিত? ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার দিন দিয়া নামে পদবঞ্চিত ছাত্রলীগের এক নেত্রীর ফেসবুক স্ট্যাটাস ঘিরে শুরু হয় এ জল্পনা। এর মধ্যে একটি মেয়ের সঙ্গে ছাত্রলীগ সভাপতির ঘনিষ্ঠ ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে জল্পনার আগুনে ঘি পড়ে। নানা প্রশ্ন জন্ম নেয়। ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে বিতর্কের মুখে বুধবার দিবাগত রাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ সভাপতি জানিয়েছেন, ভাইরাল হওয়া ছবির মেয়েটি তার স্ত্রী নয়, বান্ধবী। পদ যাওয়ার পর মেয়েটির পরিচয় তিনি সবাইকে জানাবেন। ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করা হয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শোভন বলেন, ছাত্রলীগের সম্মেলন হওয়ার পর থেকেই আমার সম্পর্কে বিবাহিত বলে একটি বিতর্ক তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল। যার সম্পর্কে কথা উঠেছে সেই মেয়েটি আমার বান্ধবী। কেউ ছাত্রলীগ করলে তার কি বান্ধবী থাকতে পারবে না- এমন? কথা তো নেই। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের কোথাও এমন কথা লেখা নেই। ছাত্রলীগ সভাপতির পদ চলে গেলে জানতে পারবেন সে (ছবির মেয়েটি) কে?

এ সময় পাশে বসা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, অপেক্ষা করুন, দাওয়াত পাবেন শিগগিরই। এ সময় সবাই হেসে ওঠেন।

প্রসঙ্গত, ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর থেকে চলছে তুলকালাম। পদ পাওয়া বহু নেতার বিরুদ্ধে মাদক গ্রহণ, বিবাহিত, মামলার আসামি, জামায়াত-শিবির সংযোগ, সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যকলাপসহ নানা অভিযোগ উঠেছে।

পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার দিন জারিন দিয়া নামে পদবঞ্চিত ছাত্রলীগের এক সদস্য ফেসবুক স্ট্যাটাসে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে বিবাহিত দাবি করেন। তিনি ফেসবুকে লেখেন, ‘রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং গোলাম রাব্বানী ভাই, আপনাদের মধুভর্তি মেয়ে লাগে। বড় বড় প্রোগ্রামে মেয়েদের মুখ না দেখলে তো আপনাদের মন ভরত না। শোভন ভাই আপনি একদিন আমাকে সবার সামনে বলছিলেন কী রে চেহারা সুন্দর আছে; তো সেজেগুজে আসতে পারো না! আমি সেজেগুজে আসতে পারি নাই দেখে আমাকে কমিটিতে রাখলেন না?? আপনারা যেসব মেয়েকে কমিটিতে রেখেছেন তারা কয়দিন থেকে রাজনীতি করে! আপা কি জানেন?? আর নিজে বিবাহিত বলে কমিটিতে দুনিয়ার বিবাহিত মেয়েদের রেখেছেন!!! আর গোলাম রাব্বানী ভাই আমাকে সবার সামনে বলছিলেন, দুইদিনের মেয়ে কেমনে পোস্ট পাইছো বুঝি নাই! মনে আছে গোলাম রাব্বানী ভাই?????? আমি তখন আপনার কথার যোগ্য জবাব দিয়েছিলাম। আজ তার শোধ নিলেন????? অনেক তথ্য অপেক্ষা করছে আপনাদের জন্য। এই বিবাহিত বিতর্কিত কমিটি মানি না; মানবো না... আমার শ্রমের মূল্য দিতে হবে আপনাদের।’’ এরপর কয়েকজনের স্ট্যাটাসে শোভনের সঙ্গে একটি মেয়ের অন্তরঙ্গ ছবি পোস্ট করা হয়।

একইদিনে সামসুন্নাহার হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াসমিন শান্তা ফেসবুকে লেখেন, ‘নারীদের বিবাহিত হওয়া ও আন্ডারগ্রাউন্ড প্রোটোকল দেওয়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটিতে বড় পোস্ট পাওয়ার মূল মন্ত্র। অভিনন্দন গোলাম রাব্বানী ভাই ও শোভন ভাই, হিসাব আছে, অনেক হিসাব, চলেন মিলাই।’

সর্বশেষ খবর