বুধবার, ১ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনা মোকাবিলায় জাতীয় কমিটি চায় বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় ‘জাতীয় কমিটি’ গঠন করা উচিত বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল দুপুরে রাজধানীর উত্তরার নিজ বাসভবনে গণমাধ্যমের কাছে তিনি এই মনোভাব ব্যক্ত করেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা কখনোই সমালোচনার জন্য সমালোচনা করছি না। আমরা সরকারকে সাহায্য করতে চেয়েছি। আমরা বলেছি, আসুন আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করি। এখন পর্যন্ত একটা জাতীয় কমিটি গঠন হয় নাই। যেটা করা উচিত ছিল বলে আমি মনে করি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ তো ১৬০ মিলিয়নের দেশ। এখানে একেবারে নিচের দিককার অর্থনীতি। সেখানে এই ধরনের সংকট মোকাবিলার ক্ষেত্রে যদি একটা জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করা যায় সেটাই হবে দেশের জন্য ভালো কাজ। এখনো সময় আছে জাতীয় কমিটি করা দরকার, এটা গঠন করা উচিত।

কীভাবে এই কমিটি হতে পারে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা আমি আগেও বলেছি। প্রধানমন্ত্রীকেই উদ্যোগ নিতে হবে যে, আপনার পলিটিক্যাল পার্টি, সিভিল সোসাইটি...। নট দ্যাট এগুলোকে নিয়ে একখানে বসে মিটিং করতে হবে- তা বলছি না। ঘোষণা করে আপনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেই এটা করতে পারেন। তখন সবার মধ্যে একটা ধারণা আসবে- ‘উই আর ওয়ান’। আমরা এক। দে কেন ডু। অথবা ওইভাবে সব নিরাপত্তা রেখে যদি সভা করতে চান তা-ও পারেন। দলীয় নেতা-কর্মীরা নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই ঘরবন্দী মানুষজন বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষজনের জন্য খাবার পৌঁছিয়ে দেওয়ার কাজ করছে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় যে সমস্যাটা হচ্ছে, খেটে খাওয়া মানুষজনের অর্থনৈতিক সমস্যা। এখন সবাই এটা বলছেন, বাংলাদেশে বেশিরভাগ মানুষই এখন দিন আনে দিন খায়। এই বিশাল একটা অংশ তারা কিন্তু কয়েকদিন ধরে কোনো আয় করতে পারছে না। সেই মানুষগুলোর জন্য যদি ইমিডিয়েটলি কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা না যায় তাহলে কিন্তু একটা বড় রকমের বিপর্যয় দেখা দেবে। যেটা আমরা ১৯৭৪ সালে দেখেছি। এই ধরনের বিপর্যয় দেখা দেবে। এই বিষয়গুলো সরকারের দেখতে হবে। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীকে যদি সেই কাজে লাগানো যায় এবং অন্যদিকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যারা আছেন একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বার যারা আছেন, তাদের সম্পৃক্ত করে যদি সেই কাজগুলো করা যায়, তাহলে রাজনৈতিক দলগুলোকে যদি সম্পৃক্ত করা যায়, তাদেরকে একসঙ্গে করা যায়-অত্যন্ত ফলপ্রসূ হবে। তার জন্য বরাদ্দ থাকতে হবে, তার জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য সামগ্রী থাকতে হবে। মির্জা ফখরুল বলেন, এখন ঢাকার অবস্থা কী দেখছেন যে, হাসপাতালগুলোতে ডাক্তার পাওয়া যাচ্ছে না। আজকের পত্রিকায় আছে যে, একজন অ্যাপেনডিসাইটিজের রোগী ৮টা হাসপাতালে ঘুরে আল্ট্রাসোনোগ্রাম করতে পারছে না। তিনি বলেন, এটা এক্সিসটেন্সের প্রশ্ন। সেই এক্সিসটেন্সের জন্য এখন সরকারকে উদ্যোগী ভূমিকা নিতে হবে। সরকারের একটা ভুলের কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি মনে করি এটা বড় ভুল হয়েছে যে, ছুটি ঘোষণা করে তার দুই দিন পর পর্যন্ত পরিবহন চালু রাখা। এতে করে সমস্ত মানুষ ছড়িয়ে গেছে সারা দেশে।

সর্বশেষ খবর