শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০৭ জুন, ২০২০ আপডেট:

আবাসনশিল্পে ৪৫৮ উপ খাতে ভয়াবহ বিপর্যয়

আতঙ্কিত ক্রেতারা উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা । প্লট-ফ্ল্যাটের কিস্তি পরিশোধ বন্ধ । ক্ষয়মুক্ত পরিবেশে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ নিশ্চয়তা দাবি হ নেই টাকার সরবরাহ, অনেক ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার হুমকিতে । সহযোগিতা করছে না ব্যাংক : রিহ্যাব । ফ্ল্যাট ও প্লটের রেজিস্ট্রেশন খরচ অর্ধেক নির্ধারণের প্রস্তাব অর্থনীতিবিদদের
রুহুল আমিন রাসেল
প্রিন্ট ভার্সন
আবাসনশিল্পে ৪৫৮ উপ খাতে ভয়াবহ বিপর্যয়

আবাসনশিল্পের পণ্যভিত্তিক ৪৫৮ উপ খাতে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে এসেছে। মহামারী করোনাভাইরাসে আতঙ্কিত ক্রেতারা টাকা হাতছাড়া করতে চাইছেন না। বিক্রীত প্লট ও ফ্ল্যাটের কিস্তি পরিশোধ বন্ধ হয়ে গেছে। শত শত ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার হুমকিতে পড়েছে। এতে উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা। নেই টাকার সরবরাহ। এমন পরিস্থিতিতেও আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলো বাণিজ্যিক ব্যাংকের কোনো সহযোগিতা না পাওয়ার তথ্য দিয়েছে রিহ্যাব। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আবাসন খাতে মন্দা হলে অর্থনীতি গতিহীন হয়ে যায়। এ বাস্তবতায় ফ্ল্যাট ও প্লটের রেজিস্ট্রেশন খরচ কমিয়ে অর্ধেক নির্ধারণ, সহজশর্তে ঋণ, ভয়মুক্ত পরিবেশে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ নিশ্চিতকরণের দাবি সংশ্লিষ্টদের। এ প্রসঙ্গে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট-পিআরআই’র নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাবে সবার আগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আবাসন খাত। আবার ঘুরেও দাঁড়াবে সবার পরে। অন্যান্য খাত সচল হলে আবাসন খাতও ঘুরে দাঁড়াবে। বাংলাদেশের আবাসন খাত অবশ্যই চাঙ্গা করতে হবে। এর সঙ্গে বিশাল কর্মসংস্থান জড়িত। তার মতে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে প্লট ও ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্র্রেশন খরচ অনেক বেশি। এটা কমিয়ে অর্ধেক করা খুবই জরুরি। ক্রেতাদের জন্য স্বল্প সুদের ঋণ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। মানুষের মাঝে আস্থাও সৃষ্টি করতে হবে।

আবাসনশিল্প উদ্যোক্তাদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন কাজল বলেন, করোনাভাইরাসে আবাসনশিল্প উদ্যোক্তাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। কাজ নেই, তবুও শ্রমিকদের বেঁচে থাকার স্বার্থে টাকা দিতে হচ্ছে। ২১১টি সহযোগী শিল্প এখন অচল। পুরো খাতজুড়ে করুণচিত্র। এমন পরিস্থিতিতে অর্থনীতিতে নতুন টাকার সরবরাহ ও সরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। কারণ, এ খাতে এখন টাকার সরবরাহ নেই। ব্যাংকও সহযোগিতা করছে না। অনেক ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার হুমকিতে পড়েছে। সত্যিই ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন। এমন সংকটে আসছে ২০২০-২১ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে আগামী পাঁচ বছরের জন্য বিনা প্রশ্নে বৈধভাবে অর্জিত অপ্রদর্শিত টাকা বিনিয়োগের সুযোগ চাই। নিশ্চিত করতে হবে ভয়মুক্ত পরিবেশ। অপ্রদর্শিত অর্থের বিনিয়োগে বাড়বে কর্মসংস্থান। গতি আসবে অর্থনীতিতে। ঘুঁরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ।

রিহ্যাবের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী তানভিরুল হক প্রবাল বলেন, আসছে বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভয় কমানোর নির্দেশনা থাকলে আবাসন খাত চাঙ্গা হতে পারে। চলমান সংকট উত্তরণে উদ্যোক্তারা হিমশিম খাচ্ছেন। শ্রমিকরা অনিশ্চয়তার ভিতর আছেন।

রিহ্যাবের আরেক সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী এম এ আউয়াল বলেন, সারা দেশের অর্থনীতি কোন দিকে যাবে, তার ওপর নির্ভর করছে আবাসন খাতের ভবিষ্যৎ। এই খাতে এমনিতেই সমস্যার শেষ নেই। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে করোনার প্রভাব। এখন সরকারের উচিত হবে- রেজিস্ট্র্রেশন খরচ কমিয়ে আবাসন খাত চাঙ্গা করা। এর পাশাপাশি আইনি প্রক্রিয়াগুলো সহজ করে জটিলতা দূর করতে হবে।

আবাসনশিল্প সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, এই খাতে জড়িত ২১১টি ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ বা সহযোগী শিল্প খাত রয়েছে। আর ১৮ খাতে বিভক্ত পণ্যভিত্তিক উপ খাত হলো ৪৫৮টি। এরমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো, রড, সিমেন্ট, রেডিমিক্স, ইট, পাথরসহ ১১টি উপ খাত নিয়ে সিভিল খাত। ক্যাবল, সার্কিট ব্রেকার, স্যুইচ-সকেট, মিটার, লাইট মিলিয়ে ৩০টি উপ খাতের ইলেক্ট্রিক খাত। উড, দরজা, লকসহ ২৫টি উপ খাত নিয়ে উড খাত। পাইপ, গ্লাস, ট্যাব, ফিটিংস, ওয়াটার পাম্প নিয়ে ২০টি উপ খাতের প্লাম্বিং খাত। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রকারের টাইলস, মার্বেল, স্টোন, মোজাইক চিপস ইত্যাদি ১৩টি উপ খাত নিয়ে টাইলস খাত। কমোড, বেসিন, বাথট্যাব, হ্যান্ড শাওয়ার, কানেকশন পাইপ, গ্রেটিংসহ ৩৩টি উপ খাত নিয়ে সেনিটারি খাত। পেইন্ট, ফোম ল্যাব, বুন্স অ্যান্ড পোলিশ নিয়ে ছয়টি উপ খাতের পেইন্ট খাত। সুড়কি, কেমিক্যাল, এডমিক্সার, স্টোনসহ ছয়টি উপ খাত। ফ্লোর ব্রোম, হেয়ার ব্রুশ, সেফটি নেট, রয়েল প্লাগ, প্লামব্রুশ, হস পাইপ, প্যাড লক, মাসকিন ট্যাব ইত্যাদি ৯৭টি উপ খাত নিয়ে হার্ডওয়্যার খাত। লিফট, সাব-স্টেশন, সোলার সিস্টেম, জেনারেটর, ইন্টারকমসহ ১৮টি উপ খাতের ইলেক্ট্রিক খাত। এ্যালুমিনিয়াম, গ্রিল, ফায়ার ডোর, স্টিল অবকাঠামো, স্কাই লাইট, এলপিজি সিস্টেম, সুইমিং পুল ইত্যাদি নিয়ে ৬৪টি উপ খাতের সাব-কন্ট্রাক্ট খাত। এক্সসাভেটোর, লিফট ট্রাক, রোড রোলার মেশিন, বুলডোজার, ডাম্প ট্রাকস, পাইপ ড্রাইভিং মেশিনসহ ১৯টি উপ খাতের কনস্ট্রাকশন মেশিনারিজ খাত। সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল, সেনিটারি, টাইলস, পেইন্ট, সয়েল টেস্ট, পাইল ওয়ার্ক নিয়ে ২৬টি উপ খাতের শ্রম খাত। এ ছাড়াও ভূমি উন্নয়ন, প্রশাসনিক, হোম অ্যাপ্লিক্যান্স ও অফিস স্টেশনারি খাতে আরও ৯০টি উপ খাত জড়িত রয়েছে আবাসনশিল্পের সঙ্গে। আলাপকালে এসব খাতের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তাদের অবস্থা এখন অত্যন্ত শোচনীয়। অনেকের ব্যবসা পুরো ধ্বংস হয়ে গেছে। ক্রেতারা আতঙ্কে আছেন। কোনো বিক্রিও নেই। ফলে ব্যবসার সার্বিক চিত্র ভালো নয়। ব্যাংকগুলোও কোনো সহযোগিতা করছে না। এফবিসিসিআইর সহসভাপতি ও বাংলাদেশ ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ইলেক্ট্রিক ব্যবসার অবস্থা এখন অত্যন্ত শোচনীয়। দেশের উন্নয়ন প্রকল্প ও আবাসন ব্যবসার সঙ্গে ওতপ্রেতভাবে জড়িত এই খাতে এখন কোনো বিক্রি নেই। কারণ, একটা নতুন বাড়ি বা কারখানা নির্মাণ কিংবা উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ না হলে ইলেক্ট্রিক পণ্য কোথাও ব্যবহার হবে না। ফলে আমাদের ব্যবসার অবস্থা খুবই খারাপ।

বাংলাদেশ কংক্রিট প্রোডাক্টস অ্যান্ড ব্লক ম্যানুফেকচারিং অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও জেসিএক্স ডেভেলপমেন্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল হোসেন চৌধুরী বলেন, ক্রেতারা আতঙ্কে আছেন। কেউ টাকা হাতছাড়া করছেন না। আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রেতারা প্লট বা ফ্ল্যাটের কোনো কিস্তি পরিশোধ করছেন না। নতুন কোনো বিক্রিও নেই। প্রণোদনার টাকা চাইলে ব্যাংকগুলো বলছে, তারা নির্দেশনা পায়নি। বন্ধ রয়েছে কনস্ট্রাকশন কাজ। এমন দোদুল্যমান পরিস্থিতিতে অনেক ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। সংকট উত্তরণে আসছে বাজেটে আবাসন খাতে বিশেষ বরাদ্দ ও রেজিস্ট্র্রেশন খরচ কমিয়ে অর্ধেক করা ও ক্রেতাদের সহজশর্তে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দিতে হবে।

বাংলাদেশ ব্রিক ম্যানুফেকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মিজানুর রহমান বাবুল বলেন, চলতি বছর ইতিমধ্যে যে সব ইট আমরা তৈরি করেছি, তা আগামী দুই বছর রেখে বিক্রি করতে হবে। বর্তমানে কোনো বিক্রি নেই। আবাসন খাতে বিপর্যয়ের কারণে ইট প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর করুণ অবস্থা দেখার কেউ নেই। কারণ, মানুষের কাছে এখন বেঁচে থাকার চেয়ে ঘর-বাড়ি জরুরি নয়। কেউ টাকা হাতছাড়া করছেন না।

বাংলাদেশ এম এস পাইপ অ্যান্ড ফিটিংস ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ শাহবুদ্দিন চৌধুরী বলেন, লকডাউন শেষে গত ১ জুন আমাদের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা হলেও কোনো বিক্রি নেই। পুরো অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ব্যাংকগুলো থেকেও কোনো প্রকার সহযোগিতা পাচ্ছি না। সামনের দিনগুলোতে আবাসনের অবস্থা আরও খারাপ হবে মনে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে এম এস পাইপ অ্যান্ড ফিটিংস খাতে চরম বিপর্যয় নামতে পারে।

বাংলাদেশ ইলেক্ট্রনিক্স সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোতাহার হোসেন খান বলেন, আবাসনশিল্প ও অন্যান্য শিল্প খাতের কনস্ট্রাকশন কাজ বন্ধ থাকায় বিপর্যয় নেমেছে ইলেক্ট্রনিক্স সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি ব্যবসায়। আবাসন ও কনস্ট্রাকশন খাত ঘুরে দাঁড়ালেই ইলেক্ট্রনিক্স সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি খাত বাঁচবে।

বাংলাদেশ হার্ডওয়্যার অ্যান্ড মেশিনারি মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. কামাল হোসেন কামাল বলেন, ব্যবসার সার্বিক চিত্র ভালো নয়। ফ্ল্যাট বিক্রি না হলে-দরজা, জানালাসহ অন্যান্য হার্ডওয়্যার সামগ্রী কেনার কেউ নেই। ফলে আবাসন খাত ঘুরে দাঁড়ালেই আমাদের ব্যবসার দুরবস্থা কাটবে। আসছে বাজেটে হার্ডওয়্যার খাতে খুচরা ভ্যাট প্রত্যাহার দাবি করেন এই ব্যবসায়ী নেতা।

বাংলাদেশ সিরামিক অ্যান্ড গ্লাসওয়্যার ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কবির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের অবস্থা সত্যি ভালো নয়। চরম খারাপ অবস্থা বিরাজ করছে। ২৫ শতাংশও বাণিজ্য হচ্ছে না। মূলত আবাসনশিল্পে মন্দা থাকায় আমাদের পরিস্থিতি সবচেয়ে বেশি নাজুক হয়েছে।

বাংলাদেশ গ্লাস মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন আলমগীর বলেন, গ্লাস প্রস্তুতকারক শিল্প এখন কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কারণ, এটা কোনো নিত্যপণ্য নয়। মানুষ যখন ফ্ল্যাট বা বাড়ি বানাবেন, তখনই কিনবেন গ্লাস। কিন্তু আবাসন ব্যবসা তো নেই। ফলে গ্লাসশিল্প চলবে কীভাবে।

বাংলাদেশ এয়ার কন্ডিশনিং ইকুপমেন্টস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. লুৎফর রহমান বলেন, আমাদের খাত পুরো ধ্বংস হয়ে গেছে। আমার নিজের গোডাউনেও ৬০ থেকে ৭০ কোটি টাকার পণ্য পড়ে আছে। যেখানে প্রতি মাসে গড়ে বিক্রি ১০ কোটি টাকা, সেখানে এখন কোনো বিক্রি নেই। শিল্প ও আবাসন খাতের সঙ্গে এয়ার কন্ডিশন জড়িত। এসব খাতের মন্দার ঢেউ লেগেছে এয়ার কন্ডিশনিং খাতেও।

জানা গেছে, আবাসন খাতে করোনাভাইরাসের প্রভাবে চরম ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তায় পড়েছে ৫৯ লাখ নির্মাণ শ্রমিকের কর্মসংস্থান। আর মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে আবাসন খাত স্থবির। ফলে ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ খাতে নেমেছে বিপর্যয়। আবাসনশিল্পের সঙ্গে জড়িত ২১১ ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ বা সহযোগী শিল্প খাত স্থবির। এসব খাতে দুই হাজারেরও বেশি শিল্প-প্রতিষ্ঠানের প্রায় দুই লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগ এখন হুমকিতে পড়েছে। ওই ২১১টি ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ শিল্পের মধ্যে রয়েছে, ২৭টি কনস্ট্রাকশন সামগ্রী খাত। ৪৩টি বাথ ও কিচেন ফিটিংস পণ্য সামগ্রী উৎপাদন ও সরবরাহকারী খাত। আরও আছে, ৪৪টি ইলেক্ট্রিক্যাল, ৪৪টি ফার্নিচার, ১৮টি সার্ফেচ ফার্নিশিংসহ আরও অনেক ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ শিল্প। এসব খাতের মধ্যে অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে, দেশের সিমেন্ট, রড, স্টিল ও রি-রোলিং মিলস, সিরামিক ও টাইলস, কেমিক্যালস, ইট, বালু, পাথর, রং, পিভিসি পাইপ, উড, গ্লাস, এ্যালমিনিয়াম, কিচেন ফিটিংস, গ্যাস স্টোভ, ওয়াটার হিটার, আয়রন, ফ্লাসিং ইকুইপমেন্টস, বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন, টান্সফরমার, লাইট, ক্যাবলস, ফ্যান, এয়ার কন্ডিশনার, এয়ার কুলার, বিল্ডিং ইন্সস্টলেশন, গ্লাস ডোর, টিম্বার, ইলেক্ট্রিক্যাল সিকিউরিটি ডোর, বিল্ডিং সেফটি, মোজাইকের বিভিন্ন পণ্য, বিভিন্ন ধরনের পাইপ, ফিটিংস, কেবলস, কাচ ও কাচজাতীয় অন্যান্য পণ্য, পাথর ও পাথরজাত পণ্য, লোহাজাতীয় বিভিন্ন পণ্য, আসবাবপত্র ও কাঠজাত বিভিন্ন পণ্য, প্লাইউড, ক্যাবল, বৈদ্যুতিক ফিটিংস ও অন্যান্য সামগ্রী, নির্মাণকাজের যন্ত্রপাতি, আঠাজাতীয় বিভিন্ন পণ্য, স্টিলজাত পণ্য, এ্যালুমিনিয়াম খাতের মতো ২১১টি ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ বা সহযোগী শিল্প। করোনাভাইরাসের প্রভাবে আবাসনে খাতে হুমকিতে পড়ায় বিপর্যয় নেমেছে এসব ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ শিল্পে। এসব খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, আবাসন খাত সচল হলেই ঘুরে দাঁড়াবে লিঙ্কেজ শিল্প। এ ছাড়াও আবাসন কোম্পানিগুলোতে ২০ হাজার নির্মাণকাজ ব্যবস্থাপক, ১০ হাজার ডিপ্লোমা প্রকৌশলী, তিন হাজার স্নাতক প্রকৌশলী এবং প্রায় ৫০০ স্থপতি নিয়োজিত আছেন। ৫৯ লাখ নির্মাণ শ্রমিকের কর্মসংস্থান ও ২১১টি ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ বা সহযোগী শিল্প খাত বাঁচিয়ে রাখতে সরকারের চলমান উন্নয়ন প্রকল্প সচল রাখা এবং আবাসন খাতে নীতি সহায়তা প্রদানে সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন-বিসিএমএ সভাপতি মো. আলমগীর কবির বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা কাটছাঁট হলে সিমেন্টশিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা চাই উন্নয়ন প্রকল্পগুলো চলমান রাখা হোক। অন্যথায় সিমেন্টশিল্পে ৫০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফেকচারিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা বেশ খারাপ অবস্থায় আছি। কারণ, অর্থনীতিতে টাকার সরবরাহ নেই। ব্যাংকগুলো টাকা সরবরাহে অনীহা প্রকাশ করছে। এখন সরকারের উচিত ব্যাংকগুলোর ওপর নজরদারি বাড়ানো।

করোনাভাইরাসের কারণে আগামী বাজেট সামনে রেখে সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে দেওয়া পত্রে আবাসন শিল্পের বিনিয়োগকারীদের মূলধন বা ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল প্রদানের অনুরোধ জানিয়েছে রিহ্যাব। সংগঠনটি বলেছে, মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি অর্জনে সমগ্র নির্মাণ খাতের অবদান প্রায় ১৫ শতাংশ। বর্তমানে এই শিল্প একেবারে স্থবির হয়ে পড়েছে। নির্মাণ খাত দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আবাসন শিল্পের ৩৫ লাখ শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে।

রিহ্যাব বলেছে, আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণ ক্রেতাদের কিস্তির ওপর ভিত্তি করে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে। অধিকাংশ ডেভেলপারের সঙ্গে তফসিলি ব্যাংকের ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের সুযোগ-সুবিধা নেই। তারা নিজ নিজ বিনিয়োগ এবং ক্রেতার কিস্তির মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। করোনার প্রভাবের কারণে ক্রেতারা কোনো কিস্তি দিচ্ছে না। ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সুবিধা না থাকার কারণে ডেভেলপাররা গভীর সংকটে পড়েছে। অফিস পরিচালনা, নির্মাণ কাজ এবং দৈনন্দিন জীবনে সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়েছে। এমন অবস্থায় সরকারের ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে বরাদ্দ প্রদানের অনুরোধ জানিয়েছে রিহ্যাব।

জানা গেছে, করোনাভাইরাসের সংকটময় পরিস্থিতিতে কাজ না থাকায় জীবনযাপনে চরম অনিশ্চয়তায় ভুগছেন সারা দেশের প্রায় ৫৯ লাখ নির্মাণ শ্রমিক। দেশের অবকাঠামো নির্মাণকারী কনস্ট্রাকশন প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষতি হয়েছে প্রায় সাড়ে ২৬ হাজার কোটি টাকা। এই খাতের প্রায় ৩৫ লাখ শ্রমিকের ভবিষ্যৎ এখন অজানা। আছে ছাঁটাই, চাকরি হারানো ও বেকারত্বের শঙ্কা। আবার আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রায় ২৫ লাখ শ্রমিক এখন কর্মহীন। এই খাতে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির আশঙ্কা উদ্যোক্তাদের। কবে নাগাদ এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটবে, তা ভেবে পাচ্ছেন না উদ্যোক্তারা। এ অবস্থায় আবাসন খাতকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সরকারকে নীতি সহায়তা চান তারা।

এই বিভাগের আরও খবর
গলাচিপায় বিএনপি গণঅধিকার পরিষদ সংঘর্ষ, আহত ১৫
গলাচিপায় বিএনপি গণঅধিকার পরিষদ সংঘর্ষ, আহত ১৫
সংঘর্ষের প্রস্তুতিকালে সেনা অভিযান, আটক ৪
সংঘর্ষের প্রস্তুতিকালে সেনা অভিযান, আটক ৪
আজ থেকে ফের আন্দোলনে নামছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা
আজ থেকে ফের আন্দোলনে নামছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা
ভোট কেন্দ্রের সিসি ক্যামেরার তথ্য চাইল ইসি
ভোট কেন্দ্রের সিসি ক্যামেরার তথ্য চাইল ইসি
নোট অব ডিসেন্ট রাখার সুযোগ নেই
নোট অব ডিসেন্ট রাখার সুযোগ নেই
‘নো হাংকি পাংকি’ ভাষা হতে পারে না
‘নো হাংকি পাংকি’ ভাষা হতে পারে না
ফেব্রুয়ারির প্রথমেই নির্বাচন সম্ভব
ফেব্রুয়ারির প্রথমেই নির্বাচন সম্ভব
সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ
সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ
নির্বাচন ঠেকানোর সাধ্য কারও নেই
নির্বাচন ঠেকানোর সাধ্য কারও নেই
তরুণরাই দেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে
তরুণরাই দেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে
জাতির প্রকৃত সম্পদ জনগণের জ্ঞান ও দক্ষতা
জাতির প্রকৃত সম্পদ জনগণের জ্ঞান ও দক্ষতা
সন্ত্রাসী সাজ্জাদসহ মামলা ২২ জনের বিরুদ্ধে
সন্ত্রাসী সাজ্জাদসহ মামলা ২২ জনের বিরুদ্ধে
সর্বশেষ খবর
জয়পুরহাটে ডাকাত দলের ৪ সদস্য গ্রেফতার
জয়পুরহাটে ডাকাত দলের ৪ সদস্য গ্রেফতার

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

বৈষম্যবিরোধী আইন প্রবর্তনে দলগুলোকে অঙ্গীকারের আহ্বান দেবপ্রিয়র
বৈষম্যবিরোধী আইন প্রবর্তনে দলগুলোকে অঙ্গীকারের আহ্বান দেবপ্রিয়র

২৩ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

চার লাখ যথেষ্ট নয়, শামির কাছে ভরণপোষণ বাবদ ১০ লাখ দাবি হাসিনের
চার লাখ যথেষ্ট নয়, শামির কাছে ভরণপোষণ বাবদ ১০ লাখ দাবি হাসিনের

১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকায় আসছেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কাফু
ঢাকায় আসছেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কাফু

৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েও সুদানের রাজধানীতে আরএসএফের ড্রোন হামলা
যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েও সুদানের রাজধানীতে আরএসএফের ড্রোন হামলা

৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অস্ট্রেলিয়ার কাছে বড় হারে সেমির স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের
অস্ট্রেলিয়ার কাছে বড় হারে সেমির স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের

১২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ব্রাজিলে টর্নেডোর আঘাতে অন্তত ৫ জনের মৃত্যু, আহত ১৩০
ব্রাজিলে টর্নেডোর আঘাতে অন্তত ৫ জনের মৃত্যু, আহত ১৩০

১৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষকদের আন্দোলনে পড়াশোনার ক্ষতি হলে কঠোর ব্যবস্থা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা
শিক্ষকদের আন্দোলনে পড়াশোনার ক্ষতি হলে কঠোর ব্যবস্থা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা

১৬ মিনিট আগে | জাতীয়

গোপালগঞ্জে প্রণোদনার বীজ-সার পেল ২৮২০ কৃষক
গোপালগঞ্জে প্রণোদনার বীজ-সার পেল ২৮২০ কৃষক

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জন নাও করতে পারে পাকিস্তান
অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জন নাও করতে পারে পাকিস্তান

১৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

লেবাননে হাসপাতালের কাছে ড্রোন হামলা চালাল ইসরায়েল
লেবাননে হাসপাতালের কাছে ড্রোন হামলা চালাল ইসরায়েল

২১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকার আকাশ সন্ধ্যা পর্যন্ত মেঘলা থাকতে পারে
ঢাকার আকাশ সন্ধ্যা পর্যন্ত মেঘলা থাকতে পারে

৩৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

যুদ্ধ নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের সুযোগ এখনও আছে: ট্রাম্প
যুদ্ধ নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের সুযোগ এখনও আছে: ট্রাম্প

৫০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টাঙ্গাইলে আহমেদ আযম খানের গণসংযোগ
টাঙ্গাইলে আহমেদ আযম খানের গণসংযোগ

৫২ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল ও কলেজে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা
বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল ও কলেজে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিরাজগঞ্জে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
সিরাজগঞ্জে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কখনো রাজনীতিতে আসার কোনো ইচ্ছে নেই : তাহসান
কখনো রাজনীতিতে আসার কোনো ইচ্ছে নেই : তাহসান

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

একদিনে হ্যাটট্রিক পরাজয়ের স্বাদ পেল ভারত
একদিনে হ্যাটট্রিক পরাজয়ের স্বাদ পেল ভারত

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে মার্কিন মাদকবিরোধী অভিযানের সমালোচনায় ম্যাঁখাে
ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে মার্কিন মাদকবিরোধী অভিযানের সমালোচনায় ম্যাঁখাে

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লালমনিরহাটে ট্রেনের ধাক্কায় নারী নিহত
লালমনিরহাটে ট্রেনের ধাক্কায় নারী নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় জমজমাট নির্বাচনি প্রচারণা
বগুড়ায় জমজমাট নির্বাচনি প্রচারণা

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সেন্টমার্টিনে ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল চালু
সেন্টমার্টিনে ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল চালু

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে প্রাচীন বিজয়ের স্মৃতিস্তম্ভ উন্মোচন, শত্রুর প্রতি সতর্কবার্তা
ইরানে প্রাচীন বিজয়ের স্মৃতিস্তম্ভ উন্মোচন, শত্রুর প্রতি সতর্কবার্তা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীর টিটিপাড়া ৬ লেনের রেলওয়ে আন্ডারপাস উদ্বোধন
রাজধানীর টিটিপাড়া ৬ লেনের রেলওয়ে আন্ডারপাস উদ্বোধন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাত্র দুই দিনেই ম্লান হলো ট্রাম্পের একচ্ছত্র ক্ষমতা!
মাত্র দুই দিনেই ম্লান হলো ট্রাম্পের একচ্ছত্র ক্ষমতা!

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরাইলে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
সরাইলে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নতুন ১৬ নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার বিষয়ে ইসির গণবিজ্ঞপ্তি
নতুন ১৬ নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার বিষয়ে ইসির গণবিজ্ঞপ্তি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ২১
রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ২১

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আমেরিকার আটলান্টিক সিটিতে কুলাউড়ার সোহেলের জয়
আমেরিকার আটলান্টিক সিটিতে কুলাউড়ার সোহেলের জয়

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ ‘লজ্জাজনক’, অংশ নেবে না যুক্তরাষ্ট্র
দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ ‘লজ্জাজনক’, অংশ নেবে না যুক্তরাষ্ট্র

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
মনোনয়ন না পেয়ে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে রিভিউ আবেদন বিএনপি নেতার
মনোনয়ন না পেয়ে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে রিভিউ আবেদন বিএনপি নেতার

১৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

পাকিস্তানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করছিল ভারত-ইসরায়েল
পাকিস্তানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করছিল ভারত-ইসরায়েল

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাহানারার মতো ভুক্তভোগীদের মুখ খোলার অনুরোধ তামিমের
জাহানারার মতো ভুক্তভোগীদের মুখ খোলার অনুরোধ তামিমের

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কিছুই জানেন না তিনি, অথচ তাকে নিয়ে ভারতে তুলকালাম!
কিছুই জানেন না তিনি, অথচ তাকে নিয়ে ভারতে তুলকালাম!

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান : ডা. সায়ন্থ
ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান : ডা. সায়ন্থ

১৬ ঘণ্টা আগে | টক শো

আমেরিকায় গরুর মাংসের দামে রেকর্ড, তদন্তের নির্দেশ ট্রাম্পের
আমেরিকায় গরুর মাংসের দামে রেকর্ড, তদন্তের নির্দেশ ট্রাম্পের

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপে দল বাড়াচ্ছে আইসিসি, সুবিধা পাবে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপে দল বাড়াচ্ছে আইসিসি, সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী এরশাদকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় স্থানান্তর
গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী এরশাদকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় স্থানান্তর

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আলোচিত সেই বিড়াল হত্যাকারী নারী আটক
আলোচিত সেই বিড়াল হত্যাকারী নারী আটক

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বর্তমান বাস্তবতায় ১০-২০ কোটি টাকা ছাড়া নির্বাচন করা যায় না:  আসিফ মাহমুদ
বর্তমান বাস্তবতায় ১০-২০ কোটি টাকা ছাড়া নির্বাচন করা যায় না:  আসিফ মাহমুদ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জবির ১৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি
জবির ১৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মাহবুবউল আলম হানিফের শ্যালকসহ গ্রেফতার ৬ জন
মাহবুবউল আলম হানিফের শ্যালকসহ গ্রেফতার ৬ জন

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তুরস্কের
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তুরস্কের

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আয়নাঘর’ থেকে বেঁচে ফিরে বিএনপির প্রার্থী হয়ে মাঠে মাজেদ বাবু
‘আয়নাঘর’ থেকে বেঁচে ফিরে বিএনপির প্রার্থী হয়ে মাঠে মাজেদ বাবু

২১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ইউরোপের একটিমাত্র দেশকে রাশিয়ার তেল কেনার সুযোগ দেবেন ট্রাম্প!
ইউরোপের একটিমাত্র দেশকে রাশিয়ার তেল কেনার সুযোগ দেবেন ট্রাম্প!

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডায়বেটিসসহ যেসব রোগ থাকলে নাও মিলতে পারে মার্কিন ভিসা
ডায়বেটিসসহ যেসব রোগ থাকলে নাও মিলতে পারে মার্কিন ভিসা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ
সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২৬ বিলিয়নিয়ার ২২ মিলিয়ন ঢেলেও মামদানিকে ঠেকাতে পারেনি!
২৬ বিলিয়নিয়ার ২২ মিলিয়ন ঢেলেও মামদানিকে ঠেকাতে পারেনি!

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিধানসভায় হারলে রাজ্যে বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না: মিঠুন
বিধানসভায় হারলে রাজ্যে বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না: মিঠুন

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘নো হাংকি পাংকি’ কোনো আদর্শের রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে না : এ্যানি
‘নো হাংকি পাংকি’ কোনো আদর্শের রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে না : এ্যানি

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতের ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করল ফিলিপাইন
দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতের ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করল ফিলিপাইন

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত উত্তেজনা চায় না: রাজনাথ সিং
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত উত্তেজনা চায় না: রাজনাথ সিং

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা নিয়ে পুলিশের সতর্কবার্তা
অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা নিয়ে পুলিশের সতর্কবার্তা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মা হারালেন অভিনেতা জায়েদ খান
মা হারালেন অভিনেতা জায়েদ খান

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ফিফা দ্য বেস্ট ২০২৫: বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের মনোনয়ন ঘোষণা
ফিফা দ্য বেস্ট ২০২৫: বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের মনোনয়ন ঘোষণা

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষতি ৪৫০০ কোটি টাকা
শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষতি ৪৫০০ কোটি টাকা

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মাইকে ভাইয়ের সঙ্গে মারামারির ঘোষণা: মুচলেকায় ছাড়া পেলেন সেই কুদ্দুস
মাইকে ভাইয়ের সঙ্গে মারামারির ঘোষণা: মুচলেকায় ছাড়া পেলেন সেই কুদ্দুস

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শনিবার থেকে আন্দোলনে নামছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা
শনিবার থেকে আন্দোলনে নামছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জটিলতায় স্থবির জাইকা ঋণের ৫ মেগাপ্রকল্প
জটিলতায় স্থবির জাইকা ঋণের ৫ মেগাপ্রকল্প

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

শ্রীমঙ্গলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
শ্রীমঙ্গলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
জাহানারার অভিযোগে টালমাটাল ক্রিকেটপাড়া
জাহানারার অভিযোগে টালমাটাল ক্রিকেটপাড়া

প্রথম পৃষ্ঠা

আসছে হেরোইনের কাঁচামাল
আসছে হেরোইনের কাঁচামাল

পেছনের পৃষ্ঠা

সেই কাজরী এখন
সেই কাজরী এখন

শোবিজ

নদীর পারে অন্যরকম চিড়িয়াখানা
নদীর পারে অন্যরকম চিড়িয়াখানা

শনিবারের সকাল

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা রুখতে হবে
সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা রুখতে হবে

নগর জীবন

‘নো হাংকি পাংকি’ ভাষা হতে পারে না
‘নো হাংকি পাংকি’ ভাষা হতে পারে না

প্রথম পৃষ্ঠা

ঝুঁকিতে ৭ কোটি পোশাকশ্রমিক
ঝুঁকিতে ৭ কোটি পোশাকশ্রমিক

পেছনের পৃষ্ঠা

গণভোটের দাবি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র
গণভোটের দাবি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশজুড়ে নির্বাচনি আমেজ
দেশজুড়ে নির্বাচনি আমেজ

প্রথম পৃষ্ঠা

উন্নয়নের সব প্রকল্পই আটকা
উন্নয়নের সব প্রকল্পই আটকা

নগর জীবন

সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ
সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়করাজের সেই ছবি
নায়করাজের সেই ছবি

শোবিজ

এশিয়ান আর্চারির পদকের লড়াই শুরু আজ
এশিয়ান আর্চারির পদকের লড়াই শুরু আজ

মাঠে ময়দানে

দেড় হাজার কোটি টাকার সুফল প্রকল্পে দুর্নীতি
দেড় হাজার কোটি টাকার সুফল প্রকল্পে দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

সিরিজে পিছিয়ে গেলেন যুবারা
সিরিজে পিছিয়ে গেলেন যুবারা

মাঠে ময়দানে

হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র

সম্পাদকীয়

কালের সাক্ষী তমাল গাছটি
কালের সাক্ষী তমাল গাছটি

পেছনের পৃষ্ঠা

ইয়ামাল-দেম্বেলের বর্ষসেরার লড়াই
ইয়ামাল-দেম্বেলের বর্ষসেরার লড়াই

মাঠে ময়দানে

চাঁদা না দেওয়ায় অফিস ভাঙচুর
চাঁদা না দেওয়ায় অফিস ভাঙচুর

দেশগ্রাম

খেলবে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার ক্লাব
খেলবে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার ক্লাব

মাঠে ময়দানে

আইরিশ ক্রিকেট দল এখন সিলেটে
আইরিশ ক্রিকেট দল এখন সিলেটে

মাঠে ময়দানে

সিলেট-১ ছেড়ে ৪-এ প্রচার শুরু আরিফের
সিলেট-১ ছেড়ে ৪-এ প্রচার শুরু আরিফের

নগর জীবন

ঠিক পথেই আছে খুদে কিংসরা
ঠিক পথেই আছে খুদে কিংসরা

মাঠে ময়দানে

বগুড়ায় বিড়াল হত্যার ঘটনায় নারী গ্রেপ্তার
বগুড়ায় বিড়াল হত্যার ঘটনায় নারী গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

বছরের শুরুতে সব বই পাবে না শিক্ষার্থীরা
বছরের শুরুতে সব বই পাবে না শিক্ষার্থীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

বন্যায় ডুবতে পারে থাইল্যান্ড
বন্যায় ডুবতে পারে থাইল্যান্ড

পূর্ব-পশ্চিম

দুজনকে পিটিয়ে হত্যা, আরও একজন গ্রেপ্তার
দুজনকে পিটিয়ে হত্যা, আরও একজন গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লংমার্চ আইনজীবীদের
আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লংমার্চ আইনজীবীদের

দেশগ্রাম

মাছের আড়তে পড়ে ছিল যুবকের রক্তাক্ত লাশ
মাছের আড়তে পড়ে ছিল যুবকের রক্তাক্ত লাশ

দেশগ্রাম