মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর

চার আসামি জেল হাজতে, রিমান্ড শুনানি আজ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় বহুল আলোচিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙার মামলায় গ্রেফতার চার আসামির রিমান্ড শুনানি আজ। গতকাল বেলা দেড়টার দিকে আসামিদের কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট রেজাউল করিমের আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। বিচারক আসামিদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পাশাপাশি আজ মঙ্গলবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক নিশিকান্ত জানান, আসামিদের দুপুরে আদালতে তোলা হয়। আদালতে মাদরাসা ইবনি মাসউদ মাদরাসার ছাত্র আবু বক্কর মিঠন ও সবুজ ইসলাম নাহিদের ১০ দিন করে এবং শিক্ষক আল আমিন ও ইউসুফ আলীর ৭ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত আজ মঙ্গলবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে আসামিদের জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

ভাঙচুরে মদদদাতাদের খুঁজছে পুলিশ : অল্পবয়সী দুই মাদরাসাছাত্রের নিজেদের বুদ্ধিতে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনা ঘটেনি বলে স্থানীয় পুলিশ মনে করছে। কুষ্টিয়া পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, নিশ্চয়ই ঘটনার পেছনে কোনো মদদতাদা আছে। ওই দুই ছাত্রকে কেউ এ কাজে উদ্বুদ্ধ করেছে। কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভির আরাফাত জানান, এ ঘটনায় মাদরাসার কোনো শিক্ষক বা অন্য কারও ইন্ধন আছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আদালত রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করলে আসামিদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ পাওয়া যাবে।

মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পলাতক : প্রায় তিন বছর আগে কুষ্টিয়ার পৌর এলাকার জুগিয়া মাদার শাহ পশ্চিমপাড়ায় মাদরাসা ইবনি মাসউদ মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন আফজাল হোসেন নামের এক ব্যক্তি। তার বাড়ি দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের গোলাবাড়িয়া গ্রামে। আফজাল হোসেন আগে স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসে চাকরি করতেন। অবসরের পর তিনি একটি হজ এজেন্সি চালান। তিনি কুষ্টিয়া শহরের কমলাপুর এলাকায় বসবাস করেন। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। তার ব্যবহৃত মুঠোফোনও বন্ধ। পুলিশ বলছে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খোঁজা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের ডান হাত ও মুখের কিছু অংশ ভেঙে ফেলা হয়। পরে সিসিটিভির ফুটেজের সাহায্যে ভাঙচুরে জড়িত দুই মাদরাসাছাত্রকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে দুই ছাত্রকে পালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়ার অভিযোগে একই মাদরাসার দুই শিক্ষককেও গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেছে পুলিশ।

সর্বশেষ খবর