শনিবার, ১৭ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

লকডাউন শিথিলে সংক্রমণ বাড়তে পারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

লকডাউন শিথিলে সংক্রমণ বাড়তে পারে

সরকারের লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্তে করোনা সংক্রমণ ব্যাপক বিস্তার ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিএনপি। গতকাল সকালে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের করোনাভাইরাস সংক্রমণ পর্যবেক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সরকারের পরিকল্পনাবিহীন উদ্যোগে ঈদ উপলক্ষে লকডাউন উঠিয়ে দিল। মানুষকে বাড়ি যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হলো। এবার কিন্তু করোনার বিস্তার শুধু ঢাকায় না, গ্রাম পর্যায়েও। এ ঈদে সবাই বাড়ি যাচ্ছে, আবার ঢাকায় ফেরত আসবে। করোনা সারা দেশে বিস্তার করবে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট খুবই সিরিয়াস, ৭০ শতাংশ দ্রুত ছড়ায়। সুতরাং করোনাকে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য যে ব্যবস্থা সরকার গ্রহণ করেছে, এতে আমাদের দেশ শেষ পর্যন্ত মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হবে, যা নিয়ে আমরা চিন্তিত। আমাদের আশঙ্কা লকডাউন শিথিলে করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে।

ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনের পর চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, ফরিদপুর, ঝালকাঠি, সুনামগঞ্জ, চাঁদপুর, নরসিংদী, গোপালগঞ্জে দলীয় কার্যালয়ের করোনা হেলপ সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়। এতে অংশ নেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন,  চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিলকিস জাহান শিরিন, শ্যামা ওবায়েদ, মোশতাক আহমেদ, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক হারুন আল রশিদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম প্রমুখ। সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, গ্রামের মানুষরা ওষুধ পাচ্ছে না। তারা অক্সিজেন পাচ্ছে না। জেলা শহরের হাসপাতালগুলোয় শয্যা সংকট থাকায় তারা দুর্ভোগে পড়ছে। ফলে সারা দেশে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাটা একেবারে হযবরল অবস্থার মধ্যে আছে। আমরা দলের পক্ষ থেকে জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা দেব। আমরা প্রতিটা জেলায় দলের কার্যালয়ে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন ও ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন-ড্যাবের সহযোগিতায় করোনা হেল্প সেন্টার খুলেছি। এ পর্যন্ত আমরা ৪৫টি জেলায় সেন্টার খুলে ফেলেছি। আজকে আরও ময়মনসিংহ উত্তর-দক্ষিণ, চট্টগ্রাম উত্তর-দক্ষিণ, ফরিদপুর, চাঁদপুর, কুমিল্লা, সুনামগঞ্জ, ঝালকাঠি, নরসিংদী, গোপালগঞ্জে হেল্প সেন্টারের উদ্বোধন করব। সব মিলিয়ে আমাদের ৫৩টা হয়ে যাবে। আশা করি, আগামী ঈদের আগেই বাকি জেলাগুলোতে শেষ করতে পারব। দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা জনগণের পাশে থাকব। তিনি বলেন, আমরা সরকারকে প্রস্তাব করেছিলাম, লকডাউন সফল করতে হলে দরিদ্র, প্রান্তিক, কর্মহীন, দিন আনে দিন খায় মানুষের কাছে কমপক্ষে তিনটা মাস ১৫ হাজার টাকা পৌঁছে দিতে হবে। তা সরকার করেনি। তারা প্রণোদনা ঘোষণা করেন। প্রণোদনাটা কোথায় দেয় আমরা কেউ জানি না। আপনারা যদি বস্তিগুলোতে গিয়ে দেখেন, তাদের জিজ্ঞাসা করেন প্রণোদনা টাকা তারা পায় কিনা- আমার মনে হয় যে, আপনারা সঠিক উত্তরটা পেয়ে যাবেন। সরকারকে বলব, আমরা জনগণকে সহায়তা করার জন্য কাজ করছি। আমাদের দয়া করে এ সহায়তাটা করতে দেন।

সর্বশেষ খবর