শুক্রবার, ৩০ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

মিনুকে ফাঁসিয়ে দেওয়া সেই কুলসুমী গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

সেই কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কুলসুমী ও সহযোগীসহ অজ্ঞাত একাধিক জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির বদলি হিসেবে নামের মিল না থাকার পরও কুলসুম আক্তার কুলসুমীর বদলে মিনু চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন ২ বছর ৯ মাস ১০ দিন। মিনুর চিরতরে মুক্তি মিলেছে। গত ২৮ জুন রাতে তিন বছর কারাভোগ করে মুক্ত হওয়ার ১৩ দিন পর সেই মিনু আক্তারের (৩০) সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে।

যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামি কুলসুমী লোহাগাড়া উপজেলার গৌরস্থান মাঝের পাড়া আহাম্মদ মিয়ার বাড়ির আনু মিয়ার মেয়ে। অপরজন মর্জিনা আক্তার (৩০)।

গতকাল কোতোয়ালি থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) আকাশ মাহমুদ ফরিদ বাদী হয়ে এ মামলা করেন বলে জানান কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন। তিনি বলেন, গতকাল ভোরে নগরীর পতেঙ্গা এলাকা থেকে তাদের দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। কুলসুমী ও মর্জিনাকে নতুন মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, নগরীর রহমতগঞ্জে একটি বাসায় ২০০৬ সালের জুলাই মাসে মোবাইলে কথা বলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গার্মেন্ট কর্মী কোহিনুর আক্তার পারভীনকে গলা টিপে হত্যা করা হয়। এরপর রহমতগঞ্জে একটি গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। কোহিনুর আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করেন গার্মেন্ট কর্মী কুলসুম আক্তার কুলসুমী। পরে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। পুলিশ দুই বছর তদন্ত শেষে হত্যাকান্ডের প্রতিবেদন জমা দেয়। ২০১৭ সালের নভেম্বরে তৎকালীন অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে পারভিন হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ডের আদেশ দেন। সাজার পরোয়ানামূলে কুলসুম আক্তার কুলসুমীর পরিবর্তে মিনু ২০১৮ সালের ১২ জুন কারাগারে যান। গত ১৮ মার্চ চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম খান নারী ওয়ার্ড পরিদর্শনকালে মিনু কোনো মামলার আসামি নন বলে জানান।

সর্বশেষ খবর