জিয়াউর রহমানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে সরকার এখন ‘নতুন গীত’ গাইছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সঙ্গে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে সম্পৃক্ত করে সরকারপ্রধানের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, এই হত্যাকান্ডের বিচার করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। সেই বিচার করার পর সব শেষ হয়ে গেছে। অথচ এখন আওয়ামী লীগ সরকার নতুন গীত শুরু করেছে যে, এই হত্যাকান্ডে জিয়াউর রহমান সম্পৃক্ত। অথচ কোথাও কেউই প্রমাণ করতে পারেনি যে, জিয়াউর রহমান এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি আরও বলেন, এই হত্যাকান্ড তো আওয়ামী লীগ ঘটিয়েছে। অন্য কেউ এর সঙ্গে জড়িত না। যারা করেছে তারা সামরিক বাহিনীর লোক ছিল। লালমনিরহাট বিএনপির উদ্যোগে জেলার কভিড-১৯ হেল্প সেন্টার উদ্বোধন এবং করোনাভাইরাস সংক্রমণে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদান উপলক্ষে গতকাল ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক বক্তব্য দেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের কাজ হচ্ছে বিএনপিকে সারাক্ষণ দোষারোপ করা। জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে কীভাবে খাটো করা যায়, অপপ্রচার চালানো যায়- সেই চেষ্টাই তারা করছে। তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকন্ডের ঘটনায় আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া পার্লামেন্টে সব সময় নিন্দা জানিয়েছেন। আমরা কেউই কোনো হত্যাকান্ড সমর্থন করি না।
মির্জা ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমান তো তখন চিফ মার্শাল অ্যাডমিনিস্টেটর ছিলেন না। তিনি সেনাবাহিনীর উপপ্রধান ছিলেন মাত্র। তখন সেনাপ্রধান ছিলেন কে এম শফিউল্লাহ। সেই শফিউল্লাহ তো খন্দকার মুশতাককে স্যালুট করেছেন। এ কে খন্দকার বিমান বাহিনী প্রধান, মুশতাককে স্যালুট করেছেন। খন্দকার মুশতাকের মন্ত্রিসভার ৩১ জন সদস্য, তারা শেখ মুজিবুর রহমানের রক্তের ওপর দিয়ে হেঁটে গিয়ে মন্ত্রিত্বের শপথ নিয়েছেন। সুতরাং মাছ দিয়ে শাক ঢাকার চেষ্টা করবেন না। নিজেদের অপকর্ম ঢাকার জন্যে অন্যকে দোষারোপ করে লাভ নেই।
