শনিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

রাজপথ দখলে নিতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজপথ দখলে নিতে হবে

ড. কামাল হোসেন

গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, দেশে এখন ষোলোআনা স্বৈরাচার বিরাজ করছে। ঘরে বসে না থেকে আজ সবাইকে দখলে নিতে হবে রাজপথ। তিনি বলেন, এর প্রতিকারে, জনগণ আন্দোলনের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত। ইতিমধ্যে তাদের রাজপথে নামা শুরু হয়ে গেছে। শহরে-শহরে, জেলায়-জেলায় রাজপথ দখল করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

ড. কামাল গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণসংহতি আন্দোলনের চতুর্থ জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।

আয়োজক সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে সম্মেলনে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, সাইফুল হক, বজলুর রশীদ ফিরোজ, রফিকুল ইসলাম বাবলু, হাসনাত কাইয়ুম, আবুল হাসান রুবেল, ফিরোজ আহমেদ প্রমুখ রাজনীতিক বক্তব্য রাখেন।

কামাল হোসেন বলেন, বর্তমান সরকারের             ওপর জনগণের কোনো আস্থা  নেই। তবু তারা ক্ষমতা ভোগ করে যাচ্ছে। দেশে ষোলোআনা স্বৈরাচার বিরাজ করছে। কোনো কিছুই জনগণের নিয়ন্ত্রণে নেই। অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণে  নেই, দেশের শাসনতন্ত্র জনগণের নিয়ন্ত্রণে নেই। তবে জনগণ আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত। পরিবর্তন আনতে হলে কেবল জনগণের ঐক্য লাগবে। মানুষে মানুষে ঐক্য হয়ে আছে। এখন দেশকে বাঁচাতে হবে। তিনি বলেন, অগণতান্ত্রিক গণবিরোধী শক্তি জনগণের ঐক্যের বিপরীতে টিকতে পারবে না। তারা যতই ভাবুক, রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে ফেলেছে, তাদের আমরা সরাবই।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ১৩ অক্টোর কুমিল্লার মন্দিরে ঘটনা ঘটল আর ধর্মমন্ত্রী আজ সেখানে বেড়াতে গেলেন। এ ঘটনায় এখন ‘উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে’ চাপানোর জন্য নতুন জজ মিয়াকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন। ড. কামালকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনার কাছে আবেদন সবাইকে মাফ করে দিয়ে আমাদের সঙ্গে নিয়ে রাজপথে থাকবেন। সভাপতির বক্তব্যে জোনায়েদ সাকি বলেন, গণসংহতি আন্দোলন স্পষ্ট ঘোষণা করে এটি গণমানুষের রাজনৈতিক দল। বিরাজমান রাজনৈতিক ক্ষমতা, আইনি ব্যবস্থাসহ সব বৈষম্যমূলক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সব মজলুমের পক্ষে আন্দোলন করবে গণসংহতি আন্দোলন। জনগণের স্বার্থের বাইরে আলাদা কোনো স্বার্থ দেখে না গণসংহতি আন্দোলন। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে অধিকার ও ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর