বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

কুমিল্লায় কাউন্সিলর হত্যায় ২১ আসামি আটক ১

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

কুমিল্লায় কাউন্সিলর হত্যায় ২১ আসামি আটক ১

সোমবার কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল (৫০) ও আওয়ামী লীগ কর্মী হরিপদ সাহা (৫৫) হত্যার ঘটনায় ২১ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন নিহত কাউন্সিলরের ভাই সৈয়দ রুমন। এদিকে পুলিশ গতকাল পর্যন্ত এ মামলায় একজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।

মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। বাকিরা অজ্ঞাতনামা। প্রধান আসামি মহানগরীর সুজানগর এলাকার শাহ আলম। অন্য আসামিরা হলেন- নবগ্রামের শাহ আলমের ছেলে জেল সোহেল, সুজানগরের রফিক মিয়ার ছেলে সাব্বির হোসেন, কানু মিয়ার ছেলে সুমন, সংরাইশের কাঁকন মিয়ার ছেলে সাজন, তেলিকোনার আনোয়ার  হোসেনের ছেলে রকি, সুজানগরের জানু মিয়ার ছেলে আলম, নুর আলীর ছেলে জিসান মিয়া, সংরাইশের মঞ্জিল মিয়ার ছেলে মাসুম, নবগ্রামের সামছুল হকের ছেলে সায়মন ও সুজানগরের কানাই মিয়ার ছেলে রনি। তাদের মধ্যে সুমন গ্রেফতার হয়েছেন। সৈয়দ রুমন মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় এ মামলা করেন। মামলার তথ্যে তিনি উল্লেখ করেছেন- মৃত্যু নিশ্চিত করতে প্রধান আসামি শাহ আলম কাউন্সিলর সোহেলের কপালের ডান পাশে গুলি করেন। ২ নম্বর আসামি জেল সোহেল মাথায় গুলি করেন। ৫ নম্বর আসামি সাজন বুকের বাঁ পাশে এবং ৬ নম্বর আসামি রকি ডান গালে গুলি করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়- আসামিরা মাদক ব্যবসা করেন। কাউন্সিলর সোহেল বাধা দেওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তিনি সোমবার পাথরিয়াপাড়ায় তার অফিসসংলগ্ন থ্রি-স্টার এন্টারপ্রাইজ রড-সিমেন্টের দোকানে বসে ছিলেন। এ সময় আসামিরা কালো পোশাক পরে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি গুলি করেন। ১ থেকে ৪ নম্বর আসামি এলোপাতাড়ি গুলি করেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে কাউন্সিলর সোহেল চেয়ার থেকে নিচে পড়ে যান। তারা মৃত্যু নিশ্চিত করতে সোহেলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি করেন। তাকে বাঁচাতে হরিপদ সাহা এগিয়ে এলে তার পেটে গুলি করেন ৭ নম্বর আসামি আলম ও ৯ নম্বর আসামি মাসুম। তারা এ দুজনের মৃত্যু নিশ্চিত করতে শাটার বন্ধ করে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকেন। লোকজন তাদের উদ্ধার করতে এলে ৮, ১০ ও ১১ নম্বর আসামিরা তাদের গুলি করেন। এতে ১ থেকে ৫ নম্বর সাক্ষী বাদল, রাসেল, জুয়েল, রিজু ও সোহেল চৌধুরী গুলিবিদ্ধ হন।

 আসামি সাব্বির ও সুমন কাঁধব্যাগ থেকে ককটেল ও অন্য আসামিরা গুলি ছুড়ে পানুয়া খানকা (দরবার শরিফ) দিয়ে উত্তর দিকে চলে যান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর