শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

কতিপয় ভিসি শিক্ষার্থীদের খেপিয়ে তুলছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

কতিপয় ভিসি শিক্ষার্থীদের খেপিয়ে তুলছেন

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, কিছু সমস্যা যা সরকারের পায়ে কাঁটার মতো বিঁধছে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের কারও কারও কান্ডজ্ঞানহীন কথাবার্তা, আচার-আচরণ দুঃখজনক। ভাব দেখে মনে হচ্ছে, কতিপয় ভিসি সাহেব ছাত্রছাত্রীদের সরকারের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তোলার মিশনে নেমেছেন। এটা দুঃখজনক। এ ব্যাপারে সরকারকে নজর দিতে হবে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ইনু বলেন, উন্নয়ন হচ্ছে যেমন সত্যি, তেমন বাংলাদেশপন্থা ও পাকিস্তানপন্থার যুদ্ধ চলছে তাও সত্যি। হেফাজতের বিভিন্ন তা ব, ধ্বংস ও এর ক্ষয়ক্ষতির ওপর শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে। সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও কমিশন গঠনসহ দুর্গাপূজার সময় সাম্প্রদায়িক হামলার ওপর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিতে হবে। আন্তঃসীমান্ত নদীর পানিবণ্টন নিশ্চিতে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে এবং নদী কমিশনকে সক্রিয় করতে হবে। জাসদ সভাপতি বলেন, জেএমবি-জামায়াত-জঙ্গিরা হচ্ছে মাঠের অ্যাক্টর। জামায়াত হচ্ছে ডিরেক্টর। বিএনপি হচ্ছে প্রডিউসার। সুতরাং এরা পাকিস্তানি রুহানি শক্তি দ্বারা পরস্পর সংযুক্ত। জেনেটিক্যালি সম্পর্কযুক্ত। তিন পক্ষকেই দমন ও বিদায় জানানো উচিত। ১৯৭১ সালে গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়ার দাবি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে হবে। তিনি বলেন, মৌসুমে মৌসুমে জঙ্গি তা ব, জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেই চলেছে। এতে প্রমাণ হয় যে, হেফাজত-জামায়াত-জঙ্গি এরা বদলায়নি। এরা বাংলাদেশের রেজিস্টার্ড বেঈমান। পাকিস্তানপন্থার ধারক ও বাহক। এদের আত্মা পাকিস্তানি। এই সাম্প্রদায়িক চক্র বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষতাকে হারাম বলে। আর ভারত, আমেরিকা, ইংল্যান্ডে গেলে তারা ধর্মনিরপেক্ষতাকে হালাল বলে। আরাম মনে করে। এই দ্বিমুখী চালবাজির রাজনীতি বন্ধ করা দরকার। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পথ চলার জন্য স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে সংবিধান পর্যালোচনা করতে হবে। সংবিধান পর্যালোচনা ও সংস্কার করা দরকার। সেজন্যই সংবিধান পর্যালোচনার জন্য সংসদের বিশেষ কমিটি গঠনের প্রস্তাব করছি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর