টাঙ্গাইলে ঈগল এক্সপ্রেসের চলন্ত বাসে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সব যাত্রীর কাছ থেকে সর্বস্ব লুট ও এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার তিনজন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল রাতে দুজন বিচারক তাদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। এরা হলেন- টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বল্লা গোরস্থান এলাকার মৃত হারুন অর রশীদের ছেলে রাজা মিয়া (৩২), গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের আবদুল আউয়াল (৩০) এবং কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ধনারচর পশ্চিমপাড়া গ্রামের নুরনবী (২৬)। রাজা মিয়া ও নুরনবী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামছুল আলমের এবং আউয়াল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুমি খাতুনের আদালতে জবানবন্দি দেন।
গত ২ আগস্ট রাতে কুষ্টিয়া থেকে ঈগল এক্সপ্রেসের একটি বাস অন্তত ২৪ জন যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়। পরে রাত ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জের একটি হোটেলে খাবারের জন্য বিরতি দেওয়া হয়। সেখান থেকে যাওয়ার পর তিন দফায় ১০ জন যাত্রীবেশে বাসটিতে ওঠেন। বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর আনুমানিক রাত দেড়টার দিকে যাত্রীরা ঘুমানোর একপর্যায়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের টাঙ্গাইলের নাটিয়াপাড়া এলাকায় পৌঁছলে ডাকাত দলের সদস্যরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুরো বাসের নিয়ন্ত্রণ নেন। প্রথমে পুরুষ যাত্রীদের তাদের পোশাক খুলে হাত মুখ বাধা হয়। অন্যদিকে নারী যাত্রীদের বাসের পর্দা ও সিটের কভার খুলে মুখ এবং হাত বেঁধে ফেলা হয়। পরে অস্ত্রের মুখে বাসের চালক ও হেলপারকে জিম্মি করা হয়। টাঙ্গাইলের গোড়াই এলাকা থেকে বাসটিকে ইউটার্ন করে এলেঙ্গা হয়ে ময়মনসিংহ রোড ধরে নিয়ে যেতে থাকে। এরই মধ্যে যাত্রীদের কাছে থাকা মোবাইল, টাকা, কানের দুল, হাতের বালা, গলার চেইন লুট করে নেওয়া হয়। পরে পাঁচ থেকে ছয়জন ডাকাত সংঘবদ্ধভাবে গাড়িতে থাকা এক নারীকে ধর্ষণ করে। রাত সাড়ে ৩টার দিকে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের পাশে বালুর ঢিবির কাছে বাসের গতি থামিয়ে পালিয়ে যায় তারা।