পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২০ জন বাংলাদেশিকে আটক করেছে, তাদের মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা ও গোয়েন্দা কর্মীও রয়েছেন।
পুলিশ জানায়, উত্তরচব্বিশ পরগনার বাগদা এলাকা থেকে ১১ জন, নদীয়ায় সাতজন, শিলিগুড়ি থেকে একজন এবং পূর্ব বর্ধমান থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সকালে উত্তরচব্বিশ পরগনার বাগদা থানার অন্তর্গত পুরদহ ও চ্যাংড়া বটতলা এলাকায় টহল দেওয়ার সময় ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে বাগদা থানার পুলিশ। এদের মধ্যে তিনজন নারী, দুজন পুরুষ এবং ছয় শিশু রয়েছে। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় তিন ভারতীয় দালালকেও। আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, তারা সবাই বাংলাদেশের বাসিন্দা। কয়েক বছর ধরে গুজরাটে কাজ করছে। আটক করার সময় তাদের কাছ থেকে ভারতে প্রবেশের কোনো বৈধ নথি বা ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট পাওয়া যায়নি। এরা সবাই অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেছিল, ফের সেভাবেই বাংলাদেশে যাওয়ার জন্য বাগদায় এসেছিল।
পুলিশ আরও জানায়, নদীয়া জেলার ধানতলা থানার পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে সাতজন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে চারজন পুরুষ, তিনজন নারী। শুক্রবার রাতে তারা ধানতলা থানার অন্তর্গত দত্তপুলিয়া এলাকায় ইতস্ততভাবে ঘোরাঘুরি করছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে, এ বাংলাদেশিরা কয়েক মাস আগে ভারতীয় দালালের সহযোগিতায় ভারতে প্রবেশ করেছিল, এরপর কর্মসূত্রে চলে যায় ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে। গতকাল রাতে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল তাদের। এদিকে উত্তরবঙ্গের বাগডোগরা বিমানবন্দরের খুব কাছে এমএম তরাই এলাকা থেকে সেনাবাহিনী আটক করে একজনকে। তার নাম আশরাফুল আলম। আনুমানিক ৫০ বছর বয়সী এই বাংলাদেশি রংপুর জেলার বদরগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। প্রাথমিক তদন্তে আশরাফুল আলম জানান, তিনি বাংলাদেশের সাবেক গোয়েন্দা সদস্য। প্রায় ছয় মাস আগে রাজশাহী সীমান্ত দিয়ে নদীপথে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন।
বর্ধমান জেলা থেকেও এক বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৈধ নথি না থাকা সত্ত্বেও ভারতে অবস্থান করার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার এই বাংলাদেশি নাগরিক নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা বলে জানা গেছে। তিনি জানান, জীবন বাঁচাতে তিনি বাংলাদেশ থেকে সম্প্রতি পালিয়ে ভারতে আসেন।