শাস্তির রায় মুলতবি রাখা হয়েছিল আট সপ্তাহের জন্য। তবে দুই মাসের মধ্যেই এলো সেই রায়। মাদক সরবরাহে সহায়তা করার দায়ে কারাদণ্ডের শাস্তি অবশ্য এড়াতে পারলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক স্পিনার স্টুয়ার্ট ম্যাকগিল। তবে কিছু শাস্তি তাকে পেতে হয়েছে।
আদালত ৫৪ বছর বয়সী সাবেক লেগ স্পিনারকে ২২ মাসের নিবিড় সংশোধনের আদেশে দিয়েছে। কারাদণ্ডের পরিবর্তে তাকে ৪৯৫ ঘন্টা কমিউনিটি পরিষেবার কাজ সম্পন্ন করতে হবে এবং আদেশের অংশ হিসেবে নিয়মিত ড্রাগ পরীক্ষাও করতে হবে।
২০২১ সালের এপ্রিলের ওই ঘটনায় বৃহৎ পরিসরে মাদক পাচারের দায় থেকে গত মার্চে ম্যাকগিলকে খালাস দিয়েছিল সিডনির একটি ডিস্ট্রিক্ট আদালত। রায়ে বলা হয়েছিল, কোকেন সরবরাহ করার ঘটনায় সম্পৃক্ত হওয়ার ব্যাপারটি জানতেন ম্যাকগিল। তবে নিজের রেস্টুরেন্টে এত বিশাল পরিমাণের মাদকের বিনিময় হচ্ছে, তা জানতেন না তিনি।
ম্যাকগিলের শ্যালক ও সাবেক এই স্পিনারের নিয়মিত ওষুধ সরবরাহকারীর মধ্যে ৩ লাখ ৩০ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার মূল্যের এক কেজি কোকেন সরবরাহের সেই চুক্তিটি হয়েছিল। নিজের রেস্টুরেন্টে সেই বৈঠকের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন ম্যাকগিল। তবে এরকম কোনো চুক্তি হবে, তিনি জানতেন না বলে আদালতকে জানান।
প্রসিকিউটররা নিশ্চিত হন যে, ম্যাকগিলের সম্পৃক্ততা ছাড়া এরকম চুক্তি হওয়া সম্ভব নয়। তবে তার সরাসরি জড়িত থাকার ব্যাপারটি প্রমাণ করা যায়নি। এক কেজি কোকেন পাচারের চুক্তিটি সম্পর্কে ম্যাকগিল জানতেন, এই অভিযোগ বাতিল করে দেন বিচারক। তবে মাদক সরবরাহে ভূমিকা রাখার জন্য ছোট কোনো শাস্তি তাকে পেতে হতো। সেই শাস্তিই পেলেন তিনি। এই মামলায় ২০২৩ সালে জেলেও যেতে হয়েছিল তাকে।
ম্যাকগিল ছিলেন দারুণ প্রতিভাবান লেগ স্পিনার। তবে ভীষণ দুর্ভাগাও বলা হতো তাকে, কারণ তার জন্ম হয়েছিল শেন ওয়ার্নের সময়ে! বেশির ভাগ সময় তাই বাইরেই থাকতে হয়েছে তাকে। ১৯৯৮ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৪৪ টেস্টে ২০৮ উইকেট শিকার করেন তিনি। ইনিংসে ৫ উইকেট নেন ১২ বার, ম্যাচে ১০ উইকেট দুইবার।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ