রবিবার, ৭ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

দাম বাড়ানো ছাড়া কিছু করার ছিল না : প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো ছাড়া আমাদের আর কিছু করার ছিল না। বিশ্ববাজারের প্রেক্ষাপটে আমরা বাড়তি কিছু করিনি। আর বিশ্ববাজারে যদি দাম কমে আসে তাহলে আমরা দাম আবার সমন্বয় করব। গতকাল তিনি কেরানীগঞ্জে তাঁর বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা চিন্তা করেছি যে, দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখা যায় কি না। তারপরও সবার জন্য এটা সহনীয় না-ও হতে পারে। কিন্তু আমাদের এখন এ ছাড়া কোনো উপায় নেই। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম যখন ১৭৩ ডলার ছিল, তখন যদি দাম বাড়াতে হতো তাহলে লিটার প্রতি ৮০ টাকা বাড়াতে হতো। আমরা তারপরও লোকসান দিয়ে গেছি। কারণ আমরা বাজার পর্যবেক্ষণ করছিলাম, আমরা দেখতে চাচ্ছিলাম নিজেদের অর্থ কতটুকু খরচ করতে পারি। কিন্তু এখন বিপিসির পক্ষে আর লোকসান টানা সম্ভব নয়। ৮ হাজার কোটি টাকার ওপরে লোকসান হচ্ছে। এখন তেল সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে দাম বাড়ানোর বিকল্প ছিল না। ডিজেলের যে দাম বাড়ানো হয়েছে, তারপরও লিটার প্রতি ৮ টাকা লোকসান গুনতে হবে। সেই লোকসান সমন্বয় করতেই অকটেন ও পেট্রোলের দাম বাড়ানো হয়েছে। পেট্রোলের দাম বাড়ানোর আরেকটি কারণ হচ্ছে অকটেনের ভেজাল বন্ধ করা।

তিনি বলেন, দেশবাসীকে ধৈর্য ধরতে হবে। জ্বালানি তেলের নতুন দাম সমাজের সবার কাছে সহনীয় হবে না। অর্থনীতির স্বার্থেই সরকারের কাছে মূল্যবৃদ্ধি ছাড়া উপায় ছিল না। বারবার বলা হচ্ছে সাশ্রয়ী হোন, তেল কম ব্যবহার করেন, গাড়ি কম ব্যবহার করেন। কারণ যানবাহন সেক্টরে সবচেয়ে বেশি ডিজেল ব্যবহার করা হয়। মাত্র ১০ শতাংশ ডিজেল ব্যবহার হতো বিদ্যুতে। এখনো যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করার সময় আছে।

সর্বশেষ খবর