রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট-বিআরটি প্রকল্পে ফ্লাইওভারের বক্স গার্ডারচাপায় পাঁচজন নিহতের ঘটনায় ক্রেনচালকসহ নয়জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। ঢাকা, গাজীপুর, সিরাজগঞ্জ ও বাগেরহাট থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। র্যাব সূত্র জানায়, গ্রেফতার অন্যদের মধ্যে ক্রেনচালকের সহযোগী ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মী রয়েছেন। এদিকে এ ঘটনায় নিহত পাঁচজনের পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাই কোর্ট। জনগণের নিরাপত্তায় বিগত পাঁচ বছরে বিআরটি প্রকল্প কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তাও ৬০ দিনের মধ্যে আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে। গতকাল বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম। আদেশের পর তিনি সাংবাদিকেদর বলেন, আমাদের রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল ও ডাইরেকশন দিয়েছেন। সড়ক ও জনপথ সচিব, বিআরটি এর চেয়ারম্যানসহ পাঁচজন বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত সোমবার বিকালে উত্তরার জসিম উদ্দীন মোড়ে বিআরটি প্রকল্পের একটি বক্সগার্ডার ক্রেনে করে তোলার সময় সেটি পড়ে যায় চলন্ত একটি প্রাইভেট কারে। এ ঘটনায় পাঁচজনের প্রাণহানি হয় ঘটনাস্থলেই। গাড়িতে থাকা নবদম্পতি কেবল বেঁচে যায়। এ দুর্ঘটনায় নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের অবহেলার বিষয়টি প্রকাশ পায়। এত ভারী একটি বস্তু সরানোর সময় সেখানে নিরাপাত্তামূলক যেসব পদক্ষেপ নিতে হতো, তার কিছুই করা হয়নি। সেখানে কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়নি, যা করলে এ প্রাণহানি এড়ানো যেত। এ ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জাকারিয়া খান জনস্বার্থে রিট করেন।
