সোমবার, ৭ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগ নেতারা এখনই জেলের কথা ভাবছেন : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগ নেতারা এখনই জেলের কথা ভাবছেন : ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতারা এখনই জেলে যাওয়ার বিষয়ে ভাবতে শুরু করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে বলেন, ‘এখনই জেলে যাওয়ার বিষয়ে ভাবতে শুরু করেছেন কেন? আপনি কেন বলেন, পালাব না, আমরা জেলে যাব। এগুলো তো আগেই ভাবা উচিত ছিল।’ বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এটা তো আগেই বোঝা উচিত ছিল। আমরা আশা করেছিলাম তারা জনগণের চোখের ভাষা বুঝতে পারবেন, তাদের কথাগুলো বুঝতে পারবেন। কিন্তু তারা তা করেননি।’

গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি প্রমুখ এতে বক্তব্য রাখেন।

বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সমাবেশগুলো দেখে যা মনে হয়েছে, মানুষ সব বাধা উপেক্ষা করে চলে আসছে। বরিশালের সমাবেশে দুই দিন আগে লঞ্চ-যানবাহন বন্ধ করা হয়েছে। এমনকি খেয়া পর্যন্ত বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু মানুষ সাঁতরে পর্যন্ত সমাবেশে উপস্থিত হয়েছেন।’

সমাবেশে অংশ নেওয়া নেতা-কর্মীদের উদ্ধৃতি দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “একজন সাধারণ মানুষ যখন বলে ‘চেষ্টা করতে হবে’, এটায় আমাদের মধ্যে আসার সঞ্চার হয়েছে। আমরা অনেক বেশি অনুপ্রাণিত হয়েছি এই সমাবেশগুলো থেকে। আমাদের মধ্যে বিশ্বাস জন্মেছে। আমরা যে যেখানেই ছিলাম, অনেক বেশি নির্যাতিত হয়েছি।” তিনি বলেন, ‘আমরা যুগপৎ আন্দোলন করার বিষয়ে সবাই একমত হয়েছি। সেগুলো নিয়ে দ্রুতই আলোচনা করা হবে।’

আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘আন্দোলনকে কীভাবে দমননীতি ও মামলা দিয়ে বন্ধ করা যায়, সে প্রচেষ্টা তারা শুরু করেছে। কিন্তু তারা বুঝতে পারছে না, জনগণের পীঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এখন তারা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। মামলা-হামলা করে কোনো লাভ হয়নি, এখনো হবে না। ১৫ বছর ধরে এ ধরনের কাজ করে বিএনপিকে তো দমিয়ে রাখতে পারেননি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, যদি আমরা একসঙ্গে সামনে এগিয়ে যাই, তাহলে আমরা অবশ্যই জয়ী হব।’ মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এ সংকটে বিএনপি একা নয়। তাদের সঙ্গে সবাই আছে। ডিসেম্বরের আগেই ঢাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায় সরকার। বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রী বানাতে হবে না। পরিবর্তনটা আনুন। দেশের মানুষকে বাঁচতে দিন। দেশের মানুষের আশা-আকাক্সক্ষার একটি ক্ষেত্র তৈরি করে দিন।’

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের বাস্তবতা বাংলাদেশে নেই।

সর্বশেষ খবর