মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ থেকে খালাসপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য এ টি এম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, ‘আগে আদালত চলত দলীয় রাজনীতির মাধ্যমে। এখন সেই আদালত মুক্ত হয়েছে। তাই আমি আমার পক্ষে রায় পাওয়ার সুযোগ পেয়েছি। আমার তো রায় হয়ে গিয়েছিল, ফাঁসি কার্যকর হবে। আল্লাহর রহমতে আজ আমি মুক্ত, যেই বিচারকরা আমাকে সাজা দিয়েছেন, তারা আজ কোথায়?’
গতকাল দুপুরে রংপুরের তারাগঞ্জ ওএ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ‘কারামুক্তি ও তারাগঞ্জ আগমন’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন তারাগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির এস এম আলমগীর হোসেন। সভায় এ টি এম আজহার আরও বলেন, ‘যে অপরাধে আমাকে ফাঁসির রায় দেওয়া হয়েছিল, আল্লাহর কসম আমি সে অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। আমাকে অন্যায়ভাবে ফাঁসানো হয়েছে। আমি আফসোস করি, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্য দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিচারপতিদের তো বিবেক থাকা দরকার। তারা বিবেক বিক্রি করেছিল আরেক জায়গায়। এই বিবেকহীন বিচারপতিরা যতদিন দেশে থাকবে, ততদিন দেশের মানুষ ন্যায়বিচার পাবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, আবদুল কাদের মোল্লা সবাইকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। আমাদের নেতা মীর কাশেম আলী দেশের বাইরে ছিলেন। অনেকে তাঁকে দেশে ফিরতে নিষেধ করেছিলেন। তিনি মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে দেশে ফিরেছিলেন। তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল।’ তিনি বলেন, ‘বিচারের নামে হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। না হলে দেশে আইনের শাসন থাকবে না।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাহবুব হোসেন বেলাল, রংপুর মহানগর আমির এ টি এম আজম খান, মিঠাপুকুর জামায়াতের আমির গোলাম রব্বানী প্রমুখ। পরে তিনি বদরগঞ্জের শাহাপুর মাঠে শুকরানা সমাবেশ ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন।