বুধবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

উন্নত বাংলাদেশ গড়ব ২০৪১ সালের মধ্যে : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

উন্নত বাংলাদেশ গড়ব ২০৪১ সালের মধ্যে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব। এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা, প্রত্যয় এবং লক্ষ্য।

গতকাল সকালে রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিস ট্রেনিং কমপ্লেক্সের প্যারেড গ্রাউন্ডে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ-২০২২ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

অন্য প্রান্তে প্যারেড গ্রাউন্ডে অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও স্বরাষ্ট্র সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী।

এ ছাড়া স্থানীয় সংসদ সদস্য, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবসহ অন্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। ‘দুর্ঘটনা-দুর্যোগ হ্রাস করি, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ি’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ শুরু হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি উপজেলায় ফায়ার স্টেশন তৈরির যে ঘোষণা আমরা দিয়েছিলাম, তা এখন শেষ পর্যায়ে। যারা এ কাজে সম্পৃক্ত তারা যেন উন্নত প্রশিক্ষণ পায়, সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমানে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সংখ্যা ৪৯১টি। আরও ৫২টি ফায়ার স্টেশন চালু করা হবে। ফলে দেশে ৫ শতাধিক স্টেশন হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা, সেবার ক্ষেত্র এবং কর্তব্যরতদের মর্যাদাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। কারণ আগুন লাগলে বা কোনো দুর্ঘটনা বা ভূমিকম্প বা কোনো কিছু ঘটলে অথবা কোনো ভবন ধসে গেলে ফায়ার সার্ভিসই সবার আগে ছুটে যায়। এমনকি কোনো জাহাজ বা লঞ্চ যখন দুর্ঘটনায় পড়ে তখনো এ ফায়ার সার্ভিসকেই আমরা পাই। তাই তাদের আরও যুগোপযোগী করা একান্ত প্রয়োজন। আর সে পদক্ষেপই আমরা নিয়েছি। এর সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সেবার ক্ষেত্র আরও সম্প্রসারণে বিভিন্ন পদক্ষেপও আমরা গ্রহণ করেছি। তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিস সম্পূর্ণ সক্ষমতার উচ্চক্ষমতার সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে যাতে রূপান্তরিত হয় সে ব্যবস্থাই আমরা গ্রহণ করেছি। প্রতিটি উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠার যে ঘোষণা আমরা দিয়েছিলাম তা এখন শেষ পর্যায়ে। যারা এ কাজে সম্পৃক্ত তারা যেন উন্নতমানের প্রশিক্ষণ ও যন্ত্রপাতি পান সেদিকে লক্ষ রেখেই আমরা বঙ্গবন্ধু ফায়ার একাডেমি প্রতিষ্ঠারও উদ্যোগ নিয়েছি। চট্টগ্রাম কনটেইনার ডিপোয় জীবন উৎসর্গকারী সদস্যদের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগকালীন অগ্নিনির্বাপণের চেষ্টা চালিয়ে উদ্ধারকাজে নিয়োজিত আমাদের যেসব ফায়ারফাইটার চট্টগ্রাম কনটেইনার ডিপোয় অগ্নিকান্ডের সময় তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, বিশেষ করে সোহেল রানা, ফায়ারফাইটার আবদুল মতিন, ডুবুরি আবদুল মতিনসহ ১৩ জন অগ্নিবীরকে আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। তাদের এ আত্মত্যাগ জাতি মনে রাখবে। কারণ, মানুষের জন্যই জীবন দিয়ে গেছেন তারা। তাদের পরিবারের প্রতি আমি সমবেদনা জানাচ্ছি।

সর্বশেষ খবর