রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু এ বিষয়ে বিশ্ব মোড়লদেরও দায়িত্ব আছে। আমরা তাদের বলেছি, রাখাইনে যেখানে রোহিঙ্গারা ছিল, সেখানে আপনারা নিরাপদ জোন তৈরি করুন। আপানারা চাইলে পারবেন। কিন্তু উনারা মুখে বলেন কিন্তু কাজে সেটা করেন না। তাদের আন্তরিকতায় কিছুটা ঘাটতি আছে।’ গতকাল সকালে সিলেট নগরীর ধোপাদিঘিরপাড়ে হাফিজ কমপ্লেক্সে ‘আল খায়ের ফাউন্ডেশনের’ উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিতদের মধ্যে হুইল চেয়ার ও সেলাই মেশিন বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গারা বিভিন্ন সময় আমাদের দেশে এসেছে। সত্তর, আশি ও নব্বইয়ের দশকে এসেছে। পরে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মিয়ানমার সরকার তাদের ফেরতও নিয়ে গেছে। এবারের সংখ্যাটা অনেক বেশি, একেবারে ১১ লাখ। তবে তারা (মিয়ানমার) কখনোই বলেনি যে, এদের নেবে না। আমরা তাদের বলেছি, তোমরা নিয়ে যাও। তারা বলছে, নেব। আমরা বলেছি, এদের নিয়ে তোমরা নিরাপত্তা দাও। তারা বলেছে, দেবে। আমরা বলেছি, তোমাদের দেশে এরা যাতে স্বেচ্ছায় যেতে চায়, যেতে পারে, সে ব্যবস্থা করো। তারা বলেছে, করব। মিয়নামার সবকিছুতেই রাজি। কিন্তু পাঁচ বছর পার হয়ে গেলেও একজনকেও তারা ফিরিয়ে নেয়নি। আসলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের আন্তরিকতার অভাব। তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, বিভিন্নভাবে চেষ্টা চলছে, দ্বিপক্ষীয়, ত্রিপক্ষীয়, বহুপক্ষীয়ভাবে চেষ্টা চলছে। আমরা কোর্টেও গেছি।’
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, যুগ্ম-সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ প্রমুখ।