ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে রাজধানীর শাহীনবাগে ঘটে যাওয়া ঘটনা সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান বলেছেন, তার (রাষ্ট্রদূত) নিরাপত্তায় কোনো ঘাটতি ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত যেখানে যাচ্ছেন, সেখানে যাওয়াটা পুলিশ বাহিনীর কর্তব্য হয়ে গেছে। খবর পেয়েই পুলিশ সেখানে ছুটে গেছে। ওসি পুলিশের পোশাক পরার সময়ও পাননি। সিভিল পোশাকেই সেখানে গিয়েছিলেন। কাজেই এখানে তার নিরাপত্তার অভাব ঘটেছে বলে কোনো রিপোর্ট আসেনি। গতকাল সচিবালয়ে এক সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। পিটার হাস গত বুধবার সকালে শাহীনবাগে দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ বিএনপির নেতা সাজেদুল ইসলামের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার সময় বাসার বাইরে একদল লোক তাকে ঘিরে ধরার চেষ্টা করেন বলে জানা যায়। তিনি নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় সেখান থেকে বেরিয়ে যান। ওই দিনই শাহীনবাগের ঘটনা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন পিটার হাস। সেখানে তিনি তার ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার কথা উল্লেখ করে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানান। এ ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, তথ্য ফাঁসের ব্যাপার তো আমরা জানি না। আমাদের কাছে তো তথ্য দেয়নি। এখন কীভাবে তথ্য ফাঁস হয়েছে, তার (মার্কিন রাষ্ট্রদূত) ওখান থেকে হয়েছে কি না, আমরা জানি না। আমাদের জানার কথাও না। পিটার হাসের শাহীনবাগে যাওয়ার ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জানার কথা। কিন্তু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও জানে না। তবে পুলিশ বাহিনী যখনই শুনেছে, তখনই সেখানে ছুটে গেছে। এদিকে ঢাকায় রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে উপপ্রধান মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল এ কথা জানিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রদূতরা যে এলাকায় থাকেন, সেখানে যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি তারা যখন বের হন, তখনো আমাদের সিকিউরিটি নিয়ে বের হন। চারজন রাষ্ট্রদূতকে অতিরিক্ত নিরাপত্তা দেওয়া হয়ে থাকে, তারমধ্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত একজন। তিনি যখন কোথাও যাওয়া-আসা করেন, তখন তার আগে-পরে আমাদের পুলিশ বাহিনী নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। তার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার সুযোগ নেই। সচিবালয়ে গতকাল ছিল বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা-সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির ষষ্ঠ সভা। সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
