সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

বিএনপির পাঁচ নেতাকে ডিভিশন দেওয়ার নির্দেশ

১৪৬ জনের জামিন নাকচ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির পাঁচ নেতাকে কারাগারে ডিভিশন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্ট। এ সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর দ্বৈত হাই কোর্ট বেঞ্চ গতকাল এ আদেশ দেন। আদেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ  উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, গাজীপুর বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন ও দলটির নির্বাহী কমিটির সদস্য বরিশালের আবুল হোসেনকে ডিভিশন দিতে বলা হয়েছে। বুধবার বিএনপির পাঁচ নেতাকে কারাগারে ডিভিশন দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাই কোর্টে রিট করা হয়। রিটের পক্ষে আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার শুনানি করেন। এদিকে ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ১৪৬ নেতা-কর্মীর জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত। পল্টন মডেল থানায় দায়ের করা ওই মামলায় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ও সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন ও বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসকে আসামি করা হয়েছে।
৮ ডিসেম্বর ঢাকার অন্য একটি আদালতে হাজির করার পর বিএনপির অপর দুই নেতা আমানুল্লাহ আমান ও আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলকে জামিন দেন আদালত। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই ১৪৬ জনের জামিন আবেদন করলে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. আতাউল্লাহ তা খারিজ করে দেন। আসামিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে বলে জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে বাদীপক্ষ। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অপরাধের গভীরতা বিবেচনায় আত্মপক্ষ সমর্থনের আবেদন নাকচ করেন বিচারক। এর আগে ১৫ ডিসেম্বর একই মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন তৃতীয়বারের মতো খারিজ করে দেন ঢাকার আরেকটি আদালত। নয়াপল্টনে দলটির কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের এক দিন পর ৮ ডিসেম্বর পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করা হয়। সংঘর্ষে একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছেন। মামলায় ৭ ডিসেম্বর বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ৪৫০ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে পরদিন ঢাকার আদালতে হাজির করা হয়। ৯ ডিসেম্বর ভোর ৩টার দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। একই দিন ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠান। নয়াপল্টন এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা চালাতে দলের সদস্যদের উসকানি দেওয়ার অভিযোগে বিএনপির ওই দুই নেতাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর