শিরোনাম
রবিবার, ৫ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

থমথমে পঞ্চগড়

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বার্ষিক সভা ঘিরে শুক্রবার সংঘর্ষের পর পঞ্চগড়ে গতকালও থমথমে অবস্থা বিরাজ করে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ১৭ প্লাটুন বিজিবির সঙ্গে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব।

আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ, মহাসড়ক অবরোধ, ভাঙচুর এবং পুলিশের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ জনতার ব্যাপক সংঘর্ষে দুজন নিহত হন। নিহতরা হলেন- পঞ্চগড় জেলা শহরের মসজিদপাড়া এলাকার ফরমান আলীর ছেলে আরিফুজ্জামান আরিফ (২৭)। গতকাল বিকালে নামাজে জানাজা শেষে পঞ্চগড় কেন্দ্রীয় গোরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। অন্যদিকে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের নিহত যুবকের নাম জাহিদ হাসান (২৩)। তিনি নাটোরের বনপাড়া পৌরসভার চিরোইল মহল্লার আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে বলে জানা গেছে। শুক্রবারের ঘটনায় গতকাল এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। এদিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ১৭ প্লাটুন বিজিবির সঙ্গে জেলা শহরের বিভিন্ন স্থান এবং আহমদনগর ও শালশিড়ি এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। জেলা শহরের শেরেবাংলা পার্ক এলাকায় গতকাল সকাল থেকে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি সদস্যরা কড়া পাহারায় ছিলেন। শুক্রবার রাতে সালানা জলসা বন্ধ ঘোষণা করে পুলিশ প্রশাসন ব্যাপক মাইকিং করার পর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। গতকাল সকাল থেকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সালানা জলসায় আসা আহমদিয়া সম্প্রদায়ের লোকজন জলসাস্থল থেকে পঞ্চগড় ছাড়তে শুরু করেন। পঞ্চগড় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল লতিফ মিঞা জানান, বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনাটি আমরা তদন্ত করে দেখছি। মামলা প্রক্রিয়াধীন।

সংবাদ সম্মেলন : গতকাল বিকালে আহমদনগরে জলসাস্থলে সংবাদ সম্মেলন করেছে আহমিদয়া সম্প্রদায়। ৯৮তম সালানা জলসার আহ্বায়ক আহমদ তবশির চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, শুক্রবারের ঘটনায় তাদের একজন নিহত ও ৭০ জন আহত হয়েছেন। নিহত ইঞ্জিনিয়ার জাহিদ হোসেনের (২৩) বাড়ি নাটোরের বনপাড়ায়। এ ছাড়া পঞ্চগড় বাজারে আহমদিয়া সদস্যদের দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন- আমরা পঞ্চগড় সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

উল্লেখ্য, পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে শুক্রবার মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ, বাড়িঘর ও দোকানে ভাঙচুর করে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ জনতার ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। বৃহস্পতিবার একই দাবিতে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে জেলা শহরের শেরেবাংলা পার্ক এলাকায় বিক্ষোভ করে সর্বস্তরের তৌহিদি জনতা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর