শুক্রবার, ১৭ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

খুনে নয়, গুমে জড়িত ফেসবুক লাইভে আরাভ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্বসেরা ক্রিকেট অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের আরাভ জুয়েলার্স উদ্বোধনের সংবাদের পর থেকেই আলোচনায় আসেন জুয়েলার্সের মালিক পুলিশ কর্মকর্তা খুনে অভিযুক্ত আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম।

গতকাল বেলা ১২টা ২২ মিনিটে ফেসবুক লাইভে এসে খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি সঠিক নয় বলে দাবি করেন আরাভ খান।

তিনি ফেসবুক লাইভে বলেন, ‘আমি খুনের সঙ্গে জড়িত না। ওই দিন আমি ছিলাম না। মামলায় আমার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ আনা হয়েছে। সেটা যদি আমার অপরাধ হয়, আমি কথা বলেছি, গুমের সঙ্গে আমি জড়িত। সেই শাস্তি আমি মাথা পেতে নেব।’ তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালে বনানীতে আমার অফিস ছিল। আপন বিল্ডার্স নামে আমার রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা ছিল। আমি সেদিন বাসায় ভাত খাচ্ছিলাম। আমার সহকারী-বডিগার্ড অফিসে খুনের বিষয়টি ফোনে জানান। যিনি খুন হয়েছিলেন তিনি একজন পুলিশ কর্মকর্তা। সেটি একটি দুর্ঘটনা ছিল। আমার অপরাধ ছিল আমি ওই অফিসের মালিক। সেদিন জন্মদিনের অনুষ্ঠান ছিল। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে ওই ঘটনা ঘটে। আমার আমেরিকান গ্রিনকার্ড আছে। কানাডিয়ান পাসপোর্ট আছে। কই, আমি তো চলে যাইনি। অনেকে আমাকে চলে যেতে বলেন। আমি খুনের সঙ্গে জড়িত না। জড়িত থাকলে পালিয়ে যেতাম। আমার অফিসে খুন হয়েছে। এ কারণে বিচার হলে আমি মাথা পেতে নেব। এত কিছুর পরও আমার গতকালের (বুধবার) অনুষ্ঠান অনেক ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে।’ আরাভ খানের ভাষ্য, তিনি শিগগিরই আমেরিকায় একটি শোরুম উদ্বোধন করবেন এবং বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় একটি করে মসজিদ নির্মাণ করবেন। জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৭ জুলাই রাজধানীর বনানীর একটি ফ্ল্যাটে খুন হন পুলিশ পরিদর্শক মামুন।

তাকে জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কথা বলে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম ভারতে পালিয়ে যান। এ মামলায় ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল ডিবি পুলিশ রবিউলসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। পুলিশ হত্যার মামলায় রবিউলের ভাড়া করা এক ব্যক্তি আত্মসমর্পণ করে ৯ মাস জেল খেটে বের হন। ২০২০ সালে রবিউল ভারতীয় পাসপোর্ট পান। তার নাম বদলে লেখা হয় ‘আরাভ খান’। সেখান থেকে চলে যান দুবাই। ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আরব আমিরাত সরকার তাকে রেসিডেন্ট পারমিট দেয়। রবিউল এখন সেখানেই আছেন, জুয়েলারি ব্যবসা করছেন।

সর্বশেষ খবর