বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে আলোচনা চলছে। খুব দ্রুতই তিনি দেশে ফিরে আসবেন বলে আশা করছেন সারা দেশের নেতা-কর্মীরা। আওয়ামী লীগ শাসনামলে একাধিক মামলার রায়ে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে প্রায় দেড় যুগ ধরে লন্ডনে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন। ছাত্র ও গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের পতন এবং তাঁর দেশ ছাড়ার পর থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীসহ জনসাধারণের মধ্যে তারেক রহমানের দেশে ফেরার আলোচনা ব্যাপক আকার ধারণ করে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে- অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলার সাজানো রায় দিয়ে তাদের প্রিয় নেতাকে বিদেশে নির্বাসিত করা হয়েছে। তিনি যখন চাইবেন তখনই দেশে ফিরবেন। এ প্রসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দ্রুতই দেশে ফিরছেন। তাকে অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। কবে ফিরবেন জানতে চাইলে বলেন, যখন তিনি (তারেক রহমান) মনে করবেন, নাউ হি ক্যান কাম ব্যাক, তখনই। তবে আমরা তাকে অনুরোধ জানিয়েছি, তিনি যেন দ্রুত দেশে ফিরে আসেন। সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন গতকাল সুপ্রিম কোর্ট বার অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তাঁর পুত্র বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উদ্দেশ্যমূলক মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। তাদের সাজা ও মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। জানা যায়, ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তারেক রহমানকে র্যাব-এর বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট এবং হেলমেট পরিয়ে ঢাকার একটি আদালতে তোলা হয়েছিল। যেভাবে আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছিল, সেটি দেখে অনেকেই চমকে উঠেছিলেন। তারেক রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ দলটির। তারেক রহমান গ্রেপ্তার হওয়ার প্রায় ছয় মাস পরে বেগম খালেদা জিয়া নিজেও গ্রেপ্তার হন। তারও আগে ১৬ জুলাই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দর-কষাকষির একপর্যায়ে সেনা কর্মকর্তারা ছোট ছেলে আরাফাত রহমানকে মুক্তি দিতে সম্মত হলেও তারেক রহমানের ব্যাপারে ছাড় দিতে রাজি হননি। কিন্তু খালেদা জিয়া চেয়েছিলেন উভয় ছেলের মুক্তি এবং তাদের বিদেশে চিকিৎসা। ১৮ মাস কারাগারে থাকার পর ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তারেক রহমানকে মুক্তি দেওয়া হয়। এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর আগে ১৩টি মামলায় জামিন পান তারেক রহমান। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তিনি লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন পরিবারের সদস্যদেরকে সঙ্গে নিয়ে। বর্তমানে সেখান থেকেই তারেক রহমান শক্তভাবে দলের হাল ধরেছেন। তাঁর নেতৃত্বে দল সাংগঠনিকভাবে এখন অনেক শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।
শিরোনাম
- ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম-হোয়াটসঅ্যাপ সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সচল
- নিখোঁজ শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার, গণপিটুনিতে অভিযুক্ত ব্যক্তির মৃত্যু
- বানিয়াচংয়ে নাইন মার্ডার: দুই আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
- মিয়ানমারে সংঘাত: টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ
- শুধু একটি নির্বাচনের জন্য দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতা রক্ত দেয়নি : মাসুদ সাঈদী
- ছাত্রী হেনস্তার অভিযোগ, ৩৭টি বাস আটকে রাখলো জাবি শিক্ষার্থীরা
- লিভ-টুগেদারে থাকতে পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে আবেদন, অতঃপর…
- আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম
- শিগগিরই সিরিয়ায় দূতাবাস চালু করবে কাতার
- বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার নম্বর কমে ১০০
- সারজিস আলমের পক্ষ থেকে পঞ্চগড়ে শীতবস্ত্র পেল দুই হাজার শীতার্ত
- বিসিএসসহ সব সরকারি চাকরির আবেদন ফি ২০০ টাকা, প্রজ্ঞাপন জারি
- রাজাকারের কোনও তালিকা মন্ত্রণালয়ে নেই: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা
- উৎখাতের পর বাশার আল-আসাদের বাবার সমাধিতে অগ্নিসংযোগ
- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেলেন যারা
- দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ বার্সেলোনা কোচ
- ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু
- বাংলাদেশে বিপুল সম্ভাবনা দেখছে নরওয়ে : রাষ্ট্রদূত
- তিন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন চসিক মেয়র
- অভিযোগ পেলেই পুলিশকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে : ডিএমপি কমিশনার
প্রকাশ:
০০:০০,
বুধবার, ০৭ আগস্ট, ২০২৪
আপডেট:
আলোচনায় তারেক রহমানের দেশে ফেরা
শফিকুল ইসলাম সোহাগ
টপিক
এই বিভাগের আরও খবর