বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অপরাধ করলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনৈতিক ও অপরাধমূলক কাজের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান জিরো টলারেন্স। দলের শৃঙ্খলা রক্ষায় কোনো ধরনের আপস করা হবে না। গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ৫ আগস্টের পর বিএনপি এবং বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের ৪/৫ হাজার নেতা-কর্মী, যারা দলের নামে দুর্বৃত্ত চক্রের সঙ্গে যোগসাজশ করে অথবা দুর্বৃত্ত চক্র গড়ে তুলে অনৈতিক কাজের মধ্যে ছিল আমরা সঙ্গে সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা তুলে ধরে তিনি বলেন, কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারীতে কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে মশাল মিছিল, ভাঙচুর, নিজ দলের কর্মীদের আঘাত করা ইত্যাদি ঘটনা ঘটিয়েছে। তদন্ত করে চিলমারী উপজেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক সাঈদ হোসেন পাখি ও সদস্য আবদুল মতিন সরকার শিশিরের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছি। রিজভী বলেন, দলের শৃঙ্খলা রক্ষায় কোনো ধরনের আপস করা হচ্ছে না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের প্রতিটি স্তরের কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং অনৈতিক ও সহিংস কর্মকান্ডে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে সংযোজন-বিয়োজন করা গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা। কেউ সংবিধানকে ছুড়ে ফেলার কথা বললেই তো হলো না। যারা গণতন্ত্রের নামে স্বৈরাচারী দৃষ্টিভঙ্গি চাপিয়ে দিতে চান, তাদের উদ্দেশ্য জনগণ বুঝে ফেলেছে। প্রয়োজনীয় সংস্কার করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিন, তাহলেই বোঝা যাবে জনগণ কার পক্ষে রয়েছে।