ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী আবু সাদিক কায়েম বলেছেন, ‘গত এক বছর ধরে আমরা যতগুলো কাজ করেছি, কর্মসূচি পালন করেছি সবগুলোতেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল। এরই মধ্যে আমরা ক্যাম্পাসে অনেকগুলো কল্যাণমূলক কাজ করেছি। ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন দাবি মেনে নিতে প্রশাসনকে বাধ্য করেছি। শিক্ষার্থীদের আগামীর প্রত্যাশাগুলোও আমরা বাস্তবায়ন করতে পারব বলে বিশ্বাস করি। শিক্ষার্থীদের ভোট ও সমর্থনের মাধ্যমে আমাদের প্যানেলের ভূমিধস বিজয় হবে ইনশাআল্লাহ। শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ে তুলবই। অঙ্গীকার করছি, শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ে তোলার আগপর্যন্ত আমরা থামব না।’ গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি। এই ছাত্রনেতা আরও বলেন, ‘প্যানেল ঘোষণার পর আমরা বিভিন্ন শিক্ষার্থীর সঙ্গে বসেছি, তাদের কথা শুনেছি। শিক্ষার্থীরা আমাদের মেধা, যোগ্যতা, দক্ষতা, সততা, সাহসিকতা দেখে আমাদের নেতৃত্বের ওপর আস্থা রাখতে চায়।’ তরুণ রাজনীতিক সাদিক কায়েম বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবে রাজনৈতিক পরিচয় ভুলে গিয়ে আমরা আন্দোলনে অংশ নিয়েছি। শহীদদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। কীভাবে ঐক্যবদ্ধ হতে হয় তা আমাদের শিখিয়েছে জুলাই বিপ্লব। এই বিপ্লবের পর ছাত্র সংসদ নির্বাচন ছিল আমাদের প্রথম দাবি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। নির্বাচনের জন্য আমরা এমন এক প্যানেল করার চেষ্টা করেছিলাম যে প্যানেলে সর্বজনীনতা থাকবে। তাই প্যানেল তৈরির ক্ষেত্রে আমরা নির্দিষ্ট কোনো দল বা বর্গকে প্রাধান্য দিইনি। আমরা প্যানেলকে অন্তর্ভুক্তিমূলক করেছি। এখানে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা যেমন রয়েছেন, তেমনিভাবে রয়েছেন ভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রার্থীও। জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়ে চোখ হারানো শিক্ষার্থী, ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড শিক্ষার্থীরাও আমাদের প্যানেল থেকে প্রার্থী হয়েছেন।’ ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক এই শিবির সভাপতি বলেন, ‘আমরা সবাইকে নিয়ে চলতে চাই, এজন্য আমাদের প্যানেলের নাম ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে গড়তে চাই।’ জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক সাদিক কায়েম বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থী যখন ক্যাম্পাসে ভর্তি হন তার প্রথম সমস্যা হচ্ছে আবাসন। আমরা বিজয়ী হলে এই আবাসন সমস্যা দূর করব। হলে সিট পেতে শিক্ষার্থীকে কোনো চিন্তাই করতে হবে না। আবাসিক হলগুলোতে মানসম্মত খাবারের অভাব রয়েছে। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর হলগুলোতে পুষ্টিকর ও মানসম্মত খাবার নিশ্চিত করব।