হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পেতুলা স্টাফল নামে বিদেশি এক নারী যাত্রীর কাছ থেকে প্রায় ১৩০ কোটি টাকার কোকেন জব্দ করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর (সিআইআইডি)। সোমবার রাত আড়াইটার দিকে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ওই যাত্রীর লাগেজে কোকেনগুলো পাওয়া যায়। কোকেনের ওজন ৮ কেজি ৬৬০ গ্রাম, যা ২২ পিস ডিম্বাকৃতির ফয়েল দিয়ে লাগেজের ভিতর মোড়ানো ছিল। এটি দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পরিমাণ কোকেন জব্দের ঘটনা। গতকাল এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সিআইআইডির উপপরিচালক সোনিয়া আক্তার। সিআইআইডি জানায়, এ ঘটনায় চোরাচালান ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বিমানবন্দর থানায় মামলা এবং কাস্টমস আইনে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। আটক নারী গায়ানার বাসিন্দা। তিনি অন-অ্যারাইভাল ভিসায় বাংলাদেশে এসেছিলেন।
এদিকে গতকাল সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত মহাপরিচালক গোলাম আজম বলেন, দেশের কোথাও বৈধ সিসা বার নেই। রেস্তোরাঁর আড়ালে অসাধু ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে সিসা বার পরিচালনা করছেন। ২৫ আগস্ট আদাবর থানার বাইতুল আমান হাউজিং সোসাইটির একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে খাইরুল ইসলাম রিয়ানকে ৪ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই দিন শেখেরটেকে অভিযান চালিয়ে একাধিক মামলার আসামি মিলন মোল্লার কাছ থেকে ১ কেজি ৬০০ গ্রাম আইস উদ্ধার করা হয়। এ মামলার মূলহোতা সৌরভ ইসলাম শান্ত ওরফে তোফায়েল হোসেন শান্ত এবং ইয়াছমিন আক্তার আঁখি পলাতক। এর মধ্যে সৌরভ ডিএনসির তালিকাভুক্ত গডফাদার। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় মাদক ও অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। একই দিনে পল্টন থানার পুরাতন ডাক ভবন বৈদেশিক ডাক থেকে অস্ট্রেলিয়া থেকে আসা ২৮০ গ্রাম টেট্রা হাইড্রো কুশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মো. শহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তিতে শুকুর মোহাম্মদ রিপনকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
সম্প্রতি বনানীতে সিসা বারে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ঢাকায় বৈধ সিসা বারের সংখ্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে গোলাম আজম বলেন, ‘ডিএনসির হিসাবে বনানীতে ২১টি সিসা বার রয়েছে। ধানমন্ডিতে একটি ছিল যা অভিযান চালিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। সিসায় ০.২% নিকোটিন থাকলে খ শ্রেণির মাদক হিসেবে ধরা হয়। এ ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। কিন্তু কিছু ব্যবসায়ী উচ্চ আদালতে রিট করে আমাদের কাজ থামিয়ে দিয়েছিলেন। তারা আদালতে ভুল তথ্য দিয়েছিলেন। এখন তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে। কোনো সিসা বারেরই অনুমোদন নেই। সব অবৈধ।’