বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পিআর আমি নিজেই বুঝি না, জনগণ কী বুঝবে? দেশটাকে বাঁচান, বিভাজন সৃষ্টি করবেন না। গণভোট আর পিআর ছাড়া নির্বাচন হবে না- এসব দাবি-দাওয়া-মিছিল করে তারা নির্বাচনটা পণ্ড করতে চায়। পিআর নিয়ে তর্কবিতর্ক পার্লামেন্টে গিয়ে হবে। যে সব মতে দলগুলো একমত, সগুলো জুলাই সনদে স্বাক্ষর হবে। বাকি মতের জন্য গণভোট হবে। দয়া করে নির্বাচনটা দিয়ে এসব অস্থিরতা কাটান। আর হিংসার রাজনীতি চাই না। হিন্দু-মুসলিমের বিভেদ চাই না। সবাই মিলে শান্তিতে থাকতে চাই। গতকাল দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শুখানপুকুরী ইউনিয়নে মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপি সরকার গঠন করতে পারলে দেশের হিন্দু সম্প্রদায় সবচেয়ে বেশি নিরাপদ থাকবে। তিনি বলেন, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই যেখানে সবাই সমানভাবে নিরাপদে থাকবে। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে। কেউ যেন ভয় বা বিভেদের মধ্যে না থাকে। মহাসচিব আরও বলেন, অনেক সমস্যা আছে সেগুলো তখনি সমাধান হবে, যখন দেশে একটা সঠিক সরকার তৈরি হবে। ১৫ বছরে আমরা অনেক কষ্ট করেছি। আমি নিজেই ১১ বার জেলে গেছি। অনেক অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছে। আমরা আর এসব চাই না। আমাদের যাতে নিজের ভোটের দাবি জানাতে গিয়ে আর মরতে না হয়।
মহাসচিব বলেন, বিগত সরকার আমাকে বারবার জেলে পাঠিয়েছে, তার কারণ তারা আমাকে ভয় পায়। এর পরেও আমাকে আটকিয়ে রাখতে পারেনি, আমি আপনাদের কাছেই ফিরে এসেছি।
মহাসচিব বলেন, অতীতে সরকারে ছিলাম, কীভাবে দেশ পরিচালনা করতে হয় তা জানি। বিএনপি নির্বাচিত হলে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। প্রত্যকটি পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য-শিক্ষা খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। কৃষকদের বিষয়ে সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দেওয়া হবে। এ সময় ধানের শীষে ভোট চান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।