কলকাতার পোস্তা এলাকায় নির্মিয়মাণ বিবেকানন্দ ফ্লাইওভার ধসে পড়ার ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেছেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী। শনিবার বর্ধমান জেলার কুলটিতে নির্বাচনী প্রচারণায় এসে রাজ্যটির শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দেগে রাহুল বলেন, ‘কলকাতায় ফ্লাইওভার ধসে পড়েছে। অনেক মানুষ মারা গেছেন। মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছেন ফ্লাইওভার দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি হওয়া উচিত নয়। উনি ঠিকই বলেছেন। কিন্তু রাজ্যের মানুষ তাকে ভোট দিয়েছিলেন এই জন্য যে তিনি কিছু কাজ করবেন। কিন্তু গত পাঁচ বছরে এই ফ্লাইওভারের কোন কাজই হয়নি। তৃণমূলের লোকজনই এই নির্মাণের সাথে যুক্ত ছিল। ওদের দলের লোক বলেই কাজের বরাত পেয়েছে। হঠাৎ করেই ফ্লাইওভার ধসে পড়ল, অনেক মানুষ নিহত হলেন। তবে এই দুর্ঘটনায় তৃণমূলের কোন ক্ষতি হয় নি। দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন, যারা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ক্ষতিটা তাদের হয়েছে’।
রাজ্যের অনুন্নয়নের অভিযোগ তুলে রাহুল গান্ধী বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার তাদের প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থ হয়েছে। দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে রাজ্য সরকার। দলের মন্ত্রীরা ক্যামেরার সামনে রুপি নিচ্ছেন। অথচ মমতা নীরবতা পালন করছেন। সারদা নিয়েও কোন কথা বলছেন না। রাজ্য থেকে এই দুর্নীতির সরকারকে উৎখাত করার ডাক দিয়ে সভায় উপস্থিত দলীয় কর্মী, সমর্থকসহ কয়েক হাজার মানুষের কাছে বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থীদের জেতানোর আর্জি জানান রাহুল।
কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে তোপ দেগে রাহুল বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক পরিকাঠামো নষ্ট করছেন মোদি। অরুণাচল প্রদেশ, উত্তরাখন্ডে আমাদের কংগ্রেস সরকারকে ভেঙে দিয়েছে। সারা দেশে তিনি একনায়কন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছেন। পশ্চিমবঙ্গেও ঠিক একই অবস্থা। দিল্লিতে যেমন মোদি চান না তিনি ছাড়া অন্য কোন নেতা থাকুক, তেমনি রাজ্যেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় চান এক ব্যক্তির শাসন। বিজেপির মতো তৃণমূলেরও একজনই নেতা।
এদিনের এই সভায় রাহুলের সাথেই পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী, দলের কেন্দ্রীয় নেতা সি.পি.যোশী ছাড়াও রাজ্যটির সাবেক মন্ত্রী সিপিআইএম নেতা বংশগোপাল চৌধুরীসহ বাম নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, আগামী ৪ এপ্রিল বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় প্রথম পর্বে জঙ্গলমহলের ১৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ ০২ এপ্রিল, ২০১৬/ রশিদা