শেষ বারের মতো বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলেন মোহাম্মদ আলী। আর ফিরবেন না। তার শবযাত্রায় ছিলেন তার মেয়ে লায়লা। ছিলেন বন্ধু গ্যারি সোবার্স। লর্ডসের স্কোর বোর্ডে ফুটে উঠল আলী নাম। ঘণ্টা বাজিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন সোবার্স। পরিবার ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের উপস্থিতিতে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে লুইসভিলের রাস্তাগুলোর দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার মানুষ মোহাম্মদ আলী শেষবারের মতো দেখে নেন। সকাল থেকেই লুইভিলের রাস্তার দুধারে ছিল ভক্তদের ভিড়। এই শহরেই জন্মগ্রহণ করেন তিনি, বেড়ে উঠেছেন এখানেই।
লর্ডসের স্কোরবোর্ডে আলি। বিখ্যাত ঘণ্টা বাজিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন আর এক কিংবদন্তি, বন্ধু গ্যারি সোবার্স।
যে বাড়িতে তার জন্ম হয়েছে, যে স্কুলে তিনি পড়েছেন, যেসব এলাকায় তিনি বড় হয়ে উঠেছে, সেসব রাস্তার সামনে দিয়ে তার ফুলে সাজানো কফিন নিয়ে একটি গাড়ি শহরের প্রায় উনিশ কিলোমিটার রাস্তা প্রদক্ষিণ করে।
শুধুমাত্র তার পরিবার আর ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের উপস্থিতিতে কেভ হিলের কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।
গত ৩ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৭৪ বছর বয়সী মোহাম্মদ আলী।
এদিকে বিশেষ স্মরণসভার মাধ্যমে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় লুইসভিলে কিংবদন্তি মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীকে শেষ বিদায় জানিয়েছেন চৌদ্দ হাজারের বেশি মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকির লুইসভিলে ওই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধর্ম ও বর্ণের মানুষ অংশ নেন। পঞ্চাশটির বেশি দেশ থেকে মানুষ এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে থাকতে না পারলেও, এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আলীকে বিশাল, উজ্জ্বল আর তার যুগের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি বলে বর্ণনা করেছেন।
বৃহস্পতিবার ইসলামী রীতি অনুযায়ী মোহাম্মদ আলীর শেষকৃত্যানুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
গাড়িতে তোলা হচ্ছে কফিন।
শবাধার নিয়ে লুইসভিল থেকে বের হল মোটরকেড।
লুইসভিলের রাস্তায় মোহাম্মদ আলীর কফিন বহনকারী গাড়ি দেখতে দাঁড়িয়ে ছিলেন অসংখ্য মানুষ।
লুইসভিলের স্মরণসভার একটি দৃশ্য।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ