একটি গাড়ি কিভাবে গণহত্যার অস্ত্র হতে পারে তারই বাস্তব উদাহরণ পাওয়া গেলে ফ্রান্সের পর্যটন শহর নিসেতে। বৃহস্পতিবার রাতে বাস্তিল দিবসের আতশবাজির অনুষ্ঠানে গাড়ি নিয়ে এই সন্ত্রাসী হামলায় ৮৪ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
গত দেড় বছরের মধ্যে ফ্রান্সে এটি তৃতীয় বেপরোয়া প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলা। কিন্তু এই সাম্প্রতিক হামলার ধরন এবং মারণাস্ত্র হিসেবে ট্রাকের ব্যবহার সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের জন্য বেশ কিছু নতুন চ্যালেঞ্জের জন্ম দিয়েছে। ঘটনায় দেখা যায় একটি সাধারণ ট্রাক ঘণ্টায় সত্তর থেকে আশি কিলোমিটার বেগে জনসমাবেশের ওপর প্রায় দুই কিলোমিটার যে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, তা অকল্পনীয়।
ঘটনার ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, লোকজন ট্রাকটিকে থামানোর চেষ্টা করলে হামলাকারী চালক তার গতি আরও বাড়িয়ে দেয়। পুলিশ সামনের দিক থেকে চালককে গুলি করে ট্রাকটিকে থামানোর আগেই শিশু-নারীসহ ৮৪ জন নিহত হন।
তিউনিসীয় বংশোদ্ভূত ৩১ বছর বয়সী ওই হামলাকারী ট্রাকচালক এককভাবে এই হামলা চালিয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে সে দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এর আগে, গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য ছিল, জঙ্গিরা গাড়িবোমা ব্যবহার করে বড় ধরনের নাশকতা করতে পারে। কিন্তু বোমার ব্যবহার ছাড়াই একটি গাড়িই যে গণহত্যার অস্ত্র হতে পারে তা কেউ ভাবতেই পারেনি।
বিডি প্রতিদিন/১৫ জুলাই ২০১৬/হিমেল-১৩