রক্তক্ষয়ী মুসলিম বিদ্বেষী প্রচারণার কারণে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে কুখ্যাত মিয়ানমারের বিতর্কিত বৌদ্ধভিক্ষু অশিন ভিরাতু এবার নিজেকে ট্রাম্পের সঙ্গে তুলনা করেছেন। আর ট্রাম্পের মাধ্যমেই নিজেকে নতুন করে তুলে ধরার জন্য স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
বিতর্কিত ওই ভিক্ষুর উস্কানিতে ২০১২ সালে অন্তত দুইশ’ রোহিঙ্গা মুসলিমকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা এবং দেড় লাখকে ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল।
সেই ভিক্ষু ভিরাতু বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তিনি নিজের মতো মনে করেন। আর মুসলিম বিদ্বেষী হওয়া সত্ত্বেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার ঘটনাকে নিজের মুসলিম বিদ্বেষী নীতির যথার্থতার প্রমাণ বলেও দাবি করেন।
ফলে গত ৮ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর নিজেকে নতুন করে তুলে ধরার স্বপ্ন দেখছেন ভিক্ষু ভিরাতু।
ভিরাতুর সন্ত্রাসী চরিত্রের বিষয়টি বিশ্বব্যাপী আলোচিত হয় ২০১৩ সালের জুনে টাইম ম্যাগাজিনে ‘বৌদ্ধ সন্ত্রাসীর মুখ’ নামে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর।
তবে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার পরেও ভিক্ষু ভিরাতুর মধ্যে সংযত হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। বরং গত বছর জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ইংঘি লিকে ‘শূয়র’, ‘বেশ্যা’ বলেও গালি দেন মুসলিম বিদ্বেষী ভিরাতু।
তবে এ বছর মিয়ানমারে স্বৈরশাসনের অবসান হয়ে নোবেল জয়ী অং সান সুচির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি বেসমরিক সরকার গঠন করলে ভিরাতুর রাষ্ট্রীয় মদদ পাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। তারপরও রাখাইনে গত দেড় মাস ধরে চলমান রোহিঙ্গা মুসলিম বিরোধী সংঘাতের মধ্যেই ভিরাতু তার মুসলিম বিদ্বেষের পক্ষে সাফাই বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, সারা বিশ্ব আমাদের অপবাদ দিয়েছে। কিন্তু আমরা শুধু আমাদের জনগণ এবং দেশকে রক্ষার চেষ্টা করছি।
মুসলিম বিদ্বেষী ভিরাতু তার বিতর্কিত আইডিয়ার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয়তাবাদীদের সহযোগিতা করার কথাও বলেছেন।
তিনি বলেন, আমেরিকায়ও আমাদের মতো সংগঠন থাকতে পারে, যারা ইসলামীকরণের নিজ দেশকে রক্ষা করবে। এ ধরনের সংগঠনকে মিয়ানমারের ৯৬৯ আন্দোলনের কাছে এসে শলাপরামর্শ করারও প্রস্তাব দেনভিরাতু।
বিডি প্রতিদিন/ ২২ নভেম্বর ২০১৬/ এনায়েত করিম-৭