ব্যক্তিগত ইমেইল ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় বার্তা আদান প্রদানের অভিযোগে হিলারি ক্লিনটনকে জেলে পাঠাবেন বলে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, তা থেকে এখন পিছু হটেছেন তিনি। নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, হিলারি ক্লিনটনকে তিনি আর কষ্ট দিতে চান না। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ওরকম কিছু করলে বরং মানুষজনের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হবে। খবর বিবিসির।
তার মুখপাত্র কেলিএ্যান কনওয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ট্রাম্প আরও জরুরি বিষয়ে মনোনিবেশ করছেন। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ মানুষ যে হিলারি ক্লিনটনকে বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করেনি সেই সত্যের মুখোমুখি তাকে হতে হবে।
বিবিসি জানায়, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন হিলারি ক্লিনটন ব্যক্তিগত ইমেইল ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় বার্তা আদান প্রদান করেছেন বলে অভিযোগ ওঠার পর বিষয়টি তদন্ত করে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। সে জন্য তাকে জেলে পাঠাবেন বলে যে প্রতিশ্রুতি ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সমর্থকদের দিয়েছিলেন তা থেকে পুরো উল্টো পথে হাটার সিদ্ধান্তে তার সমর্থকরা অবশ্য রীতিমতো চটেছেন। তাকে রীতিমতো 'বিশ্বাসঘাতক' বলে আখ্যা দিয়ে ফেলেছেন কেউ কেউ।
এদিকে, নির্বাচনের সময় কঠোরভাবে প্রচারণা চালিয়েছেন এরকম আরও বেশ কয়েকটি ইস্যুতেও ভিন্ন সুরে কথা বলছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যেমন জলবায়ু পরিবর্তনকে প্রচারণার সময় আষাঢ়ে গল্প বলে আখ্যা দিয়ে এখন ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন বিষয়টি তিনি খোলা মনে দেখতে চান। তিনি শ্বেতাঙ্গ উগ্রবাদীদের সমর্থন নিয়েছেন এমন অভিযোগের জবাবে ট্রাম্প বলেছেন, এরকম কোন গোষ্ঠীকে শক্তিশালী করার কোন ইচ্ছে তার নেই।
বিডি-প্রতিদিন/২৩ নভেম্বর, ২০১৬/মাহবুব