চলতি বছরের ৮ নভেম্বর হঠাৎ করেই ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের ঘোষণা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর ভারতের নাগরিকরা পড়েন ভীষণ বিপদে। হাতে টাকা থাকলেও তা কোনো কাজে আসছে না কারণ সেটা বাতিল হয়ে গেছে। ফলে বাধ্য হয়ে ছুটলেন ব্যাংকে, নোট বদলাতে। কিন্তু এতেও আরেক বিপদে পড়তে হচ্ছে তাদের।
নোট বাতিলের পর ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বিজেপির মন্ত্রী, এমপিদের করা ব্যাংক লেনদেনের হিসেব চাইলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার। মঙ্গলবার তিনি এ নির্দেশ দেন। সম্প্রতি অভিযোগ ওঠে, নোট বাতিলের ঘোষণা দেয়ার আগে নিজের দল বিজেপির নেতা-কর্মীদের সে তথ্য জানিয়ে দিয়েছিলেন মোদি। ফলে তারা নোট বাতিলের পর সৃষ্ট বিড়ম্বনা থেকে বেঁচেে গেছে। এরপরপরই মোদি এ ঘোষণা দিলেন।
চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাতিল নোট ব্যাংক থেকে বদলানো যাবে। ৮ নভেম্বর থেকে ৩১ নভেম্বর পর্যন্ত এসব মন্ত্রী, এমপি কী পরিমাণ নোট বদল করেছেন তার খতিয়ান তাদের জমা দিতে হবে বিজেপির প্রেসিডেন্ট অমিত শাহের কাছে।
বিডি প্রতিদিন/২৯ নভেম্বর, ২০১৬/ফারজানা