ব্রাজিলের ফুটবল ক্লাব চাপেকোয়েন্সের খেলোয়াড় বহনকারী বিমানটির জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। সোমবার মধ্যরাতে লামিয়া বলিভিয়া নামে এলএমআই ২৯৩৩ ফ্লাইটটি ফুটবলারসহ ৮১ আরোহী নিয়ে বিমান বিধ্বস্ত হলে ৭৬ জন মারা যান।
বিবিসির খবরে বলা হয়, অডিও ক্লিপটিতে পাইলটকে বারবার বলতে শোনা যাচ্ছে তিনি, ‘ইলেকট্রিক ফেইলার’ এবং তেলের অভাবের কারণে অবতরণের অনুমতি চাচ্ছেন। এতে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে জ্বালানি শেষ অথবা ইলেকট্রিক গোলযোগের কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, ব্রাজিলের ফুটবল ফেডারেশন সাতদিনের শোক ঘোষণা করেছে। এই সাতদিন ব্রাজিলে সমস্ত ফুটবল বন্ধ থাকবে। সরকারও তিনদিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে।
মঙ্গলবার ট্রেনিং শুরুর আগে রিয়েল মাদ্রিদ এবং বার্সালোনা দল এক মিনিটের নীরবতা পালন করেছে। ২০০৯ সালেও শাপেকোয়েন্সে ক্লাবের নাম ব্রাজিলে খুব কম মানুষই জানতো। চতুর্থ বিভাগে খেলত তারা। কিন্তু গত তিন বছর ধরে ক্লাবটি ব্রাজিল এমনকি দক্ষিণ আমেরিকার অন্যতম শক্তিধর ক্লাবে পরিণত হয়। বিমানটিতে দলের সব খেলোয়াড় এবং কোচিং স্টাফ এবং বেশ কজন কর্মকর্তা ছিলেন। এ ছাড়া ২১ জন সাংবাদিক ছিলেন যাদের মধ্যে ২০ জনই নিহত হয়েছেন।
জানা গেছে, খেলোয়াড়দের মধ্যে বেঁচে গেছেন মাত্র তিনজন - দুই ডিফেন্ডার অ্যালান রাচেল এবং হেইলো নেটো, এবং গোলকিপারদের একজন জ্যাকসন ফোলম্যান। এ ছাড়া দুইজন ক্রু প্রাণে বেঁচে আছেন। প্রাণে বাঁচলেও খেলোয়াড়রা আর কখনো হয়তো মাঠে নামতে পারবেন না। অর্থাৎ ৪৩ বছর পর আবার নতুন করে শুরু করতে হবে শাপেকোয়েন্সে ক্লাবকে। ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ক্লাবটি।
বিডি প্রতিদিন/ ০১ ডিসেম্বর ২০১৬/ এনায়েত করিম-৪