সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মিরপুরের চিরচেনা স্লো অ্যান্ড টার্নিং পিচে রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে পাকিস্তান। ঘরের মাঠে তিন ফরম্যাটেই এখানে স্পিন-সহায়ক স্লো পিচ বানানো হয়, এই ম্যাচেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পিচ থেকে সুবিধা নিতেই ঘরের কন্ডিশনে আগের নীতি অনুসরণ করেছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে ম্যাচ শেষে খানিকটা অভিযোগও ছিল পাকিস্তানের কোচ মাইক হেসন ও অধিনায়ক সালমান আঘার। যদিও বাংলাদেশের উইকেটকে আরো বুঝেশুনে খেলতে পারত পাকিস্তান, এমনটা মনে করছেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটার কামরান আকমল।
প্রথম ম্যাচে এমন উইকেটে বাংলাদেশের দারুণ বোলিং আক্রমণে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। তাসকিন আহমেদ, শেখ মেহেদী, মুস্তাফিজুর রহমান ও তানজিম হাসান সাকিব মিলে সফরকারীদের মাত্র ১১০ রানে থামিয়ে দেন।
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করে কামরান আকমল বলেন, বাংলাদেশ দুর্দান্ত বোলিং পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। মুস্তাফিজ চার ওভার বল করে মাত্র ছয় রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়েছে। ২২/২৩ রান দিয়ে তাসকিন তিন উইকেট নিয়েছে। প্রথমে বোলিং করার সুবিধা বাংলাদেশ পুরোটাই লুফে নিয়েছে।
পাকিস্তান ব্যাটিং ব্যর্থতার পর বল হাতে তেমন কিছু করতে পারেনি। যদিও সালমান মির্জা নিজের প্রথম দুই ওভারে তানজিদ ও লিটনের উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। কিন্তু এরপর সেই চাপ ধরে রাখতে পারেনি দলটি।
কামরান আরো বলেন, তানজিদ তামিম এবং লিটন দাস আউট হওয়ার পর একটি জুটি দাঁড়িয়ে যায় এবং ম্যাচ শেষ করে দেয়। এটাই পার্থক্য দুই দলের। যখন আপনার টার্গেট কম থাকবে, তখন দলের বেস্ট বোলারকে ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে সালমানকে আরো সক্রিয় হতে হবে।
শেষে পাকিস্তান দলকে বাংলাদেশের কন্ডিশন বুঝে খেলার পরামর্শ দেন সাবেক এই উইকেটরক্ষক। তিনি বলেন, প্রথম ওভারে ৯ রান আসার পর মনে হচ্ছিল পাকিস্তান ২০০ রানের জন্য ব্যাট করছে। আমার মনে হয়, টিম মিটিংয়েও এমনভাবে খেলার কথাই তাদের বলা হয়েছে। কিন্তু কেউ তাদের বলেনি যে, এটা লাহোর নয়, বাংলাদেশ। সেখানকার কন্ডিশন চ্যালেঞ্জিং। বাংলাদেশে খেলাটা এতটাও সহজ নয়। সেখানকার কন্ডিশনকে আপনার কিছুটা সম্মান প্রদর্শন করতেই হবে। যেই সম্মানটা গত ম্যাচে পাকিস্তান দলে দেখতে পাইনি। পাকিস্তান তাদের গতানুগতিক খেলাটাই খেলেছে।
বিডি প্রতিদিন/কেএ