অবশেষে উড়তে যাচ্ছে ভারতে আটকে থাকা ব্রিটিশ ব্রিটিশ রয়াল নেভির এফ-৩৫বি যুদ্ধবিমানটি। এটি ভারতের কেরালা রাজ্যের থিরুবনন্তপুরম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দীর্ঘ পাঁচ সপ্তাহ ধরে আটকে আছে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) এটি উড্ডয়ন করবে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “বিমানবন্দরের একজন মুখমাত্র বলেছেন- বিমানটিকে হ্যাঙ্গার থেকে বের করা হয়েছে। মঙ্গলবার এটি উড্ডয়ন করবে। তবে আমাদের কাছে প্রযুক্তিগত কোনও তথ্য নেই।’
এফ-৩৫বি যুদ্ধবিমানটি গত ১৪ জুন ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালার থিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ওই সময় এটি ভারত মহাসাগরে একটি মহড়ায় অংশ নিচ্ছিল এবং খারাপ আবহাওয়ার কারণে এটি রয়্যাল নেভির যুদ্ধজাহাজ ‘এইচএমএস প্রিন্স অব ওয়েলস’-এ ফিরতে পারেনি। বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করলেও পরবর্তীতে এতে একটি প্রযুক্তিগত ত্রুটি দেখা দেয়।
ভারতের মাটিতে বিমানটির দীর্ঘ উপস্থিতি কৌতূহলের জন্ম দিয়েছিল ও অনেকে প্রশ্ন তুলেছিল, এত আধুনিক বিমান কিভাবে এতদিন ধরে একটি ভিন্ন দেশে অবস্থান করতে পারে। এইচএমএস প্রিন্স অব ওয়েলসের বহরের সদস্য বিমানটি ফিরে যেতে না পারার পর রয়াল নেভির প্রকৌশলীরা এটি মেরামত করার জন্য পরিদর্শন করেন।
তবে তারা এটি মেরামত করতে পারেননি। দুই সপ্তাহ আগে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তারা এফ-৩৫বি বিমানটি মূল্যায়ন ও মেরামতের জন্য ১৪ জন প্রকৌশলীর একটি দল থিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরে পাঠিয়েছে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দলটি চলাচল ও মেরামত প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় বিশেষ সরঞ্জাম নিয়ে গিয়েছিল। সেই সময়ের ভিডিওগুলোতে বিমানটিকে একটি হ্যাঙ্গারে টেনে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
জল্পনা ছিল, যদি তারা বিমানটি মেরামত করতে ব্যর্থ হন, তাহলে এটি ভেঙে ফেলতে হবে ও সি-১৭ গ্লোবমাস্টার বিমানের মতো বড় কার্গো বিমানে করে এটি নিয়ে যেতে হবে।
এই ঘটনায় ভারতে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিম ও রসিকতা শুরু হয়েছিল। কেউ কেউ মজা করে লিখেন, এই বিমানটিকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া উচিত; কেউ বলেছে, বিমানবন্দর ভাড়া নেওয়া হোক। কেরালা পর্যটন বিভাগও হালকা ব্যঙ্গ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দিয়েছিল। তাতে বলা হয়, “কেরালা, এমন এক গন্তব্য- যেখান থেকে কেউই ফিরে যেতে চায় না।”
সোমবার বিমানবন্দরের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, বিমানটি উড্ডয়নের উপযোগী বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
লকহিড মার্টিন নির্মিত এফ-৩৫বি হলো অত্যন্ত উন্নত রাডারকে ফাঁকি দিতে সক্ষম যুদ্ধবিমান। ছোট রানওয়ে থেকে উড্ডয়ন ও উল্লম্ব অবতরণের সক্ষমতার জন্য বিমানটি মূল্যবান। সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/একেএ