মুহূর্তেই চেনা চারপাশ অচেনা। আগুনের লেলিহানে ঘুঁচে গেলো জীবন মরণের ফারাক। কয়েক সেকেন্ড আগেও কোলাহল মুখর ভবনে হঠাৎ হাহাকার। বাঁচার শেষ চেষ্টাটুকুও হয়তো করতে পারেনি অনেকে।
এই নির্মম ঘটনার শিকারদের অধিকাংশই শিশু। ফাতেমাও তাদেরই একজন। তৃতীয় শ্রেণিতেই আটকে গেলো সে। তার আর ক্লাসও বাড়বে না, বাড়বে না বয়সও।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনায় ১৭১ জন আহত হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুর ১টার দিকে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটে। এতেই নিখোঁজ ছিলো মাইলস্টোন স্কুলের বাংলা ভার্সনের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাতেমা। বহু খোঁজাখুঁজির তার খোঁজ মিলেছে।
তবে ফাতেমার দেহে নেই কোনো চাঞ্চল্য, নেই স্কুল শেষে বাড়ি ফেরার ব্যাকুলতা। সিএমএইচে মিলেছে তার মরদেহ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফাতেমার বাবা সাংবাদিক লিয়ন মির। তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ে আর নেই। তার মরদেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) রয়েছে।’
এর আগে দুপুরের দিকে মাইলস্টোন স্কুলের বাংলা ভার্সনের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাতেমা নিখোঁজ রয়েছে বলে জানান বৈশাখী টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার লিয়ন মির। পরে সামরিক হাসপাতালে শিশুটির মরদেহ পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল