যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর ডাকোটার মিনোট শহরের আকাশে ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে ডেল্টা ফ্লাইট ৩৭৮৮ নামের একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ।
উড়োজাহাজটি হঠাৎ করেই দ্রুতগতির একটি সামরিক বিমানের কাছাকাছি চলে আসে। মুহূর্তের মধ্যে বিপদের আঁচ পেয়ে পাইলট দ্রুত বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেন—তিনি তড়িৎ কৌশলে উড়োজাহাজের দিক পরিবর্তন করে বড় ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে সক্ষম হন। ফলে প্রাণে বেঁচে যান বিমানে থাকা সব যাত্রী।
খবর অনুসারে, ডেল্টা ফ্লাইটটি মিনিয়াপোলিস থেকে উড্ডয়ন করে মিনোটের দিকে যাচ্ছিল। হঠাৎ ডান পাশ থেকে আরেকটি বিমান এগিয়ে আসতে দেখে পাইলট বিমানের রুট পরিবর্তন করেন। পরে যাত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তাদের গতি আমাদের চেয়ে অনেক বেশি ছিল। আমার মনে হয়েছে, পেছন দিক দিয়ে ঘুরে যাওয়া সবচেয়ে নিরাপদ হবে।’
ঘটনাটিকে ‘আক্রমণাত্মক কৌশল’ হিসেবে বর্ণনা করেন পাইলট। যাত্রীদের উদ্দেশে দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও বিস্মিত হয়েছি। এটা একেবারেই স্বাভাবিক ঘটনা নয়।’
ডেল্টার অংশীদার প্রতিষ্ঠান স্কাইওয়েস্ট জানায়, তাদের ফ্লাইটটি মিনোট বিমানবন্দর থেকে অবতরণের ছাড়পত্র পেয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ আরেকটি বিমান চোখে পড়ায় সেটি নিরাপত্তার কারণে পুনরায় আকাশে ঘুরে যায়।
ঘটনার সময় মিনোটে একটি সামরিক বিমান, বি-৫২ বোমারু বিমান, স্থানীয় রাজ্য মেলার ফ্লাইওভারে অংশ নিচ্ছিল। তবে বিমানবাহিনী এটা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
প্রসঙ্গত, মিনোট শহরটি কানাডা সীমান্ত থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। শহরটিতে একটি বাণিজ্যিক বিমানবন্দর ও একটি মার্কিন বিমান ঘাঁটি রয়েছে।
যাত্রীবাহী বিমানের পাইলট অভিযোগ করেন, মিনোট টাওয়ার থেকে দেওয়া নির্দেশনায় বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘ওরা বলল, ডানে ঘুরুন। আমি বললাম, ডান পাশে তো একটা বিমান রয়েছে। তখন ওরা বলল, তাহলে বামে ঘুরুন।’
জানা গেছে, মিনোট বিমানবন্দরে রাডার নেই। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক ছোট ও দূরবর্তী বিমানবন্দরে সাধারণ বিষয়।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে ওয়াশিংটনের রিগ্যান জাতীয় বিমানবন্দরে একটি মার্কিন সেনা হেলিকপ্টার ও আমেরিকান এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী বিমানের সংঘর্ষে ৬৭ জনের প্রাণহানি ঘটে। সেই দুর্ঘটনার পর থেকেই একই আকাশসীমায় সামরিক ও বেসামরিক উড়োজাহাজ পরিচালনার সমন্বয় নিয়ে নতুন করে ভাবছে মার্কিন প্রশাসন ও কংগ্রেস।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল