উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতির ৮০ ভাগই চীনের ওপর নির্ভরশীল। তাই উত্তর কোরিয়াকে দমানোর অন্যতম উপায় হচ্ছে চীন। এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। গত এক দশক ধরে জাতিসংঘ চীনকে উত্তর কোরিয়ায় তেল রপ্তানি বন্ধ করতে বারবার আহবান জানালেও চীন সেটি উপেক্ষা করে এসেছে। উত্তর কোরিয়ার যেকোনো কিছুতেই সমর্থন দেওয়াটা আগে বেইজিংয়ের কৌশল ছিল। তবে এখন মনে হচ্ছে বেইজিং তাদের সেই কৌশল পুনর্মূল্যায়ন করছে। উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে চীনকে এতটা স্পষ্ট অবস্থান নিতে আগে কখনও দেখা যায়নি। কিন্তু চীনের এ অবস্থান পরিবর্তনে ট্রাম্পের ভূমিকা কতোটুকু?
যদিও উত্তর কোরিয়া নিয়ে চীনের সঙ্গে সমঝোতার ইঙ্গিত দিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, চীন যদি উত্তর কোরিয়াকে দমাতে যুক্তরাষ্ট্রকে সাহায্য করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য চুক্তি বর্তমানের চেয়ে অনেকগুণ ভালো হতে পারে।
তাছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে শেষ সাক্ষাতে উত্তর কোরিয়ার প্রতি বিশেষ নজর দিতে ট্রাম্পকে অনুরোধ করেছিলেন ওবামা। কারণ কিম জং উন তার পরমাণু অস্ত্র ও আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপনাস্ত্র বাড়িয়েই যাচ্ছিল। ট্রাম্প নিজেই তখন এটি গণমাধ্যমে বলেছেন।
দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রাম্প বেশ কয়েকবার টুইট করে বলেছেন, উত্তর কোরিয়াকে থামাতে চীনকে আরও বেশি উদ্যোগী হতে হবে।এসবের মধ্যেই মার্কিন সেনাবাহিনী দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ক্ষেপনাস্ত্র বিধ্বংসী প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থা মোতায়েন করার পরিকল্পনা করছে, যদিও চীন এতে বাধা দিচ্ছে।
মার্চে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন যখন এশিয়া সফর করছিলেন, তখন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়া যদি তাদের পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ না করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে হামলার বিষয়টি বিবেচনা করবে। তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়াকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ‘কৌশলগত নীরব’ থাকার দিন শেষ।
এদিকে শি জিনপিংয়ের যুক্তরাষ্ট্র সফরের পর চীনের মনোভাবের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। সফরের পর চীনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, কোরীয় উপদ্বীপের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার শান্তিপূর্ণ সমাধান চান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার