কাতারের রাজধানী দোহার অন্যতম দর্শনীয় ও পর্যটন স্থান প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী বাজার সুক ওয়াকিফ।এই বাজারে প্রতিদিন ঘুরতে আসেন নানা দেশ থেকে আসা পর্যটকরা।এর অন্যতম একটি কোলাহলমুখর অংশ পোষাপাখির বাজার।পাখির কিচিরমিচিরে সবসময় মুখর এই হাটে মিলবে পছন্দের নানা প্রজাতি ও রং বেরঙের পাখি।
বছরজুড়ে প্রতিদিনই নানা বয়সের দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর থাকে এই পাখির বাজার। আরবিতে এর নাম সুক আল হামাম। এখানে বিক্রি হয় টিয়া কবুতরসহ দেশ বিদেশের নানা প্রজাতির পোষাপাখি।
তুলনামূলকভাবে টিয়াপাখির কদর এখানে অনেক বেশি। ছোট বড় নানা আকারের বিভিন্ন রঙের বিদেশি পাখিগুলোও ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে। আরও পাওয়া যায় বিদেশি কুকুর, বিড়াল, ইঁদুর, খরগোশসহ অন্য অনেক প্রজাতির প্রাণী।দীর্ঘদিন ধরে এই বাজারে ব্যবসা করছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। আরব ও ইউরোপের নানা দেশ থেকে তারা পাখি এনে বিক্রি করছেন। এই বাজারে আছে সর্বনিম্ন ১০০ রিয়াল থেকে শুরু করে কয়েক হাজার রিয়াল মূল্যের পাখি।
সপ্তাহের প্রায় প্রতিদিনই শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সের ক্রেতারা আসেন এই বাজারে। তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে তিল ধারণের ঠাঁই থাকে না। শীত মৌসুমে কেনাবেচা বেশি হয় বলে গরমকালে ক্রেতার সংখ্যা স্বাভাবিকভাবে কমে যায় বলে জানান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
কেবল পশু-পাখি নয়, বরং এখানে পাওয়া যায় রঙিন মাছ, একুরিয়াম, পশু-পাখির খাঁচা, খাবারদাবার, ওষুধপত্রসহ নানা সামগ্রী। তাই নতুন পোষাপ্রাণী কিনতে যেমন অনেকে এখানে আসেন, তেমনিভাবে ঘরে থাকা পশু-পাখির জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও কিনতে আসেন স্থানীয় নাগরিক, অভিবাসী ও পর্যটকরা।
বিডি প্রতিদিন/৩০ জুলাই, ২০১৭/ফারজানা