গত বছরের ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়া সফরে রিশাভ পান্তের আউট হওয়ার ধরনে চটে গিয়ে ‘স্টুপিড! স্টুপিড! স্টুপিড!’ বলেছিলেন ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার। উচ্চারণগুলি ছিল রাগের। আর তা যে পান্তের জন্য সেটাও ছিল পরিষ্কার।
পরে ইংল্যান্ড সফরে অবশ্য তা বদলে যায়। পান্তের খেলা দেখে ‘সুপার্ব, সুপার্ব, সুপার্ব’ বলতে বাধ্য হন গাভাস্কার। তবে এবার ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের তৃতীয় টেস্টে লর্ডসে আবার সেই ‘স্টুপিড’ শব্দটি শোনা গেল তার মুখে। এবার কাকে বললেন তিনি?
এ বার অবশ্য কোনও ক্রিকেটার গাভাস্কারের নিশানায় ছিলেন না। তিনি নিজেকেই বোকা বলেছেন। তার কারণও রয়েছে। লর্ডসে তৃতীয় দিন চা বিরতির সময় সঞ্চালক সঞ্জনা গণেশনের সঙ্গে কথা বলছিলেন গাভাস্কার। বিরতির কিছুক্ষণ আগে বেন স্টোকসের একটা বল নীতীশ রেড্ডির হেলমেটে লাগে। সেই বিষয়েই কথা হচ্ছিল দুইজনের মধ্যে। সঞ্জনা গাভাস্কারকে তার খেলার সময়ের কথা জিজ্ঞাসা করেন। কীভাবে বিনা হেলমেটে গাভাস্কার ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসারদের সামলেছেন সেই অভিজ্ঞতার কথা শুনতে চান তিনি।
গাভাস্কার জানান, তিনি প্রথমের দিকে খালি মাথায় খেললেও ক্যারিয়ারের শেষ দিকে একটা হেডগিয়ার (কপাল ঢাকার আবরণ) পরতেন। তিনি বলেন, “শুরুর দিকে তো কিছুই পরতাম না। বলের দিকে নজর রাখতাম। বাউন্সার দিলে ঝুঁকে পড়তাম। তবে শেষ কয়েক বছর একটা হেডগিয়ার পরতাম। মাইক ব্রিয়ারলিকে কাউন্টি ক্রিকেটে পরতে দেখেছিলাম। ওকে দেখেই বানিয়েছিলাম। তাতে মাথা কিছুটা হলেও বাঁচত।”
হেডগিয়ার পরায় ম্যালকম মার্শালের একটা বল থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন তিনি। গাভাস্কার বলেন, “মার্শালের একটা বাউন্সার সোজা আমার কপালে লাগে। ব্যাট সরালেও মাথা সরাতে পারিনি। ভাগ্যিস হেডগিয়ার ছিল। নইলে এখানে বসে থাকতে পারতাম না।”
তবে সেই হেডগিয়ারও সারাক্ষণ পরতেন না গাভাস্কার। তিনি বলেন, “নতুন বল খেলার সময় হেডগিয়ার পরতাম। বল একটু পুরনো হলে খুলে রাখতাম।” তা শুনে সঞ্জনা বলেন, “আপনি খুব সাহসী ছিলেন।”
জবাবে গাভাস্কার বলেন, “কিংবা হয়তো স্টুপিড ছিলাম। স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড।” এ কথা বলে নিজের কপালের দিকে হাত দিয়ে দেখান তিনি। গাভাস্কারের কথা শুনে হেসে ফেলেন সঞ্জনা। সেখানে বসে থাকা মাইকেল ভনও হেসে ফেলেন। সূত্র: আনন্দবাজার
বিডি প্রতিদিন/নাজিম