চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তার পরিষ্কার কোন উত্তরসূরি না রেখেই পোলিটব্যুরোর স্ট্যান্ডিং কমিটির শীর্ষ নেতাদের নাম ঘোষণা করেছেন।
এর আগে পোলিটব্যুরোতে প্রেসিডেন্ট এর উত্তরসূরির রাখার প্রথা দেখা গেছে। পোলিটব্যুরোর সাতজনের মধ্যে পাঁচজন নেতার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। যারা মূলত দেশটির নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
এদিকে, এই টিমে শি জিনপিংয়ের কোন উত্তরাধিকারী না থাকায় প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে কিভাবে তিনি শাসন কাজ পরিচালনা করতে যাচ্ছেন। কমিটিতে যে ছয়জন রয়েছেন তাদের সবার বয়স ৬০ বছরের উপরে। আগামী পাঁচ বছর মেয়াদ কালের মধ্যে তাদের অবসরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে।
কমিটিতে তরুণ কোনো নেতা না থাকা এই জল্পনাকে উসকে দিয়েছে যে শি জিনপিং হয়ত পাঁচ বছরের বেশি মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকবেন। সাম্প্রতিক দশকগুলোতে চীনের অনেক নেতাই নিজেদের উত্তরসূরিদের প্রতিষ্ঠিত করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
কমিউনিস্ট পার্টির চলমান কংগ্রেসে নিজের ভাষণে শি জিনপিং বলেছেন, উন্নয়নের একটি নতুন যুগে চীন প্রবেশ করতে যাচ্ছে।
আমাদের অবশ্যই এমন হতে হবে যাতে লোকে অনুকরণীয় মনে করে। নতুন যুগে আমরা, পার্টিকে গঠনের কথা মাথায় রেখে আমরা নিজেদের পুনর্গঠন ও উন্নয়ন করবো। নতুন যুগে চীনা বৈশিষ্টমণ্ডিত সমাজতন্ত্রের জন্য আমরা অবশ্যই নিজেদের উৎসর্গ, এবং নিজেদের প্রজ্ঞা ও শক্তিকে পার্টি ও দেশের কাজে লাগাবো।
কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেসের একেবারে শেষ দিকে ঘোষণা করা হয় স্ট্যান্ডিং কমিটি এবং ২৫ সদস্য বিশিষ্ট পোলিটব্যুরো কমিটি।
কংগ্রেসে আসা ডেলিগেটরা বৈঠকে বসে সেন্ট্রাল কমিটি নির্বাচন করেন। এই ডেলিগেটরা, যারা সংখ্যায় প্রায় দু'শো, সাধারণত বছরে দুইবার বৈঠকে বসেন।
মঙ্গলবার শি জিনপিংয়ের পক্ষে বিপুল ভোট দিয়ে তাকে বিরল এক সম্মানে অধিষ্ঠিত করা হয়েছে। চীনের প্রতিষ্ঠাতা মাও জেদংয়ের পর্যায়েই এখন মনে করা হচ্ছে শি জিনপিং এর স্থান।-বিবিসি বাংলা।
বিডি প্রতিদিন/২৫ অক্টোবর ২০১৭/আরাফাত