সৌদি আরবকে মডারেট ইসলামিক রাষ্ট্র করার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তিনি বলেন, সৌদি আরব ঠিক আগে যেমন ছিল, আবার তেমনই হবে। উদার নীতিতে ফিরে যাবে সৌদি আরব।
সংবাদসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, রিয়াদের একটি ইকনমিক ফোরামে বক্তব্যে দেওয়ার সময়ে তিনি বলেন- 'আমরা আমাদের আগের অবস্থানে ফিরে যাচ্ছি। সৌদি আরব একটি মধ্যপন্থী ইসলাম দেশ হিসেবেই আগামী দিনে পরিচিত হবে। ভবিষ্যতের ৩০ বছর আমরা ধ্বংসাত্মক চিন্তাভাবনার মধ্যে কাটাবো না। দ্রুত আমরা চরমপন্থী মনোভাব দূর করে সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবো।'
রিয়াদে অতি রক্ষণশীল ও গোঁড়া ইসলাম নিয়ম মানা হয়। এমনকি আলাদা পুরুষ ও মহিলাদের মেলামেশার উপরেও রয়েছে কড়া নিষেধ। এখানে মেয়েদের গাড়ি চালানোর অনুমতিও নেই।
২০১৭ সালের গোড়ার দিকে যুবরাজ তেহরানের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন। বলেছিলেন, তেহরান চরমপন্থী আদর্শে চলছে। গোটা ইসলামিক দুনিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টায় রয়েছে তেহরান। এদিন তাকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ৩১ বছরের যুবরাজ বলেন, যে দেশ চরমপন্থী আদর্শকেই পাথেয় করে চলছে সেই দেশের সঙ্গে কীভাবে কোনও বোঝাপড়ায় আসব?
সৌদি আরবের রাজবংশ সুন্নি ইসলামধর্মী। হাউস অফ সৌদ নামেই পরিচিত এদেশের রাজবংশ। অন্যদিকে ইরানে শিয়া ধর্মাবলম্বীদের বাস। ইসলামের এই দুই শাখার মধ্যে অশান্তির সূত্রপাত মহম্মদের বংশধর কে তা নিয়ে। শিয়া মুসলিমদের মত ছিল মহম্মদের জ্ঞাতি ভাইকে উত্তরাধিকার মানা হোক। তবে সুন্নিরা মহম্মদের কাছের বন্ধু আবু বাকরকেই সমর্থন করেছিলেন ইসলামিক দেশের প্রথম খলিফা হিসেবে।
বিডি প্রতিদিন/২৫ অক্টোবর ২০১৭/আরাফাত