মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘উত্তর কোরিয়াকে নিয়ে ধৈর্য ধরার দিন শেষ হয়ে গেছে। পিয়ংইয়ংয়ের পরমাণু কর্মসূচি সভ্য পৃথিবী ও আন্তর্জাতিক শান্তি এবং স্থায়িত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ।’
সোমবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন ট্রাম্প।
তিনি আরও বলেন, উত্তর কোরিয়ার হুমকি প্রতিহত করতে ‘গুণগত ও পরিমাণগত’ সামরিক ক্ষমতা বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছে জাপান। যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের মধ্যে সহযোগিতার ভিত্তিতে একটি শক্তিশালী যৌথ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার হুমকি মোকাবেলায় জাপানের উচিত যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি সামরিক রসদ কেনা। নিজেদের সীমান্তের নিরাপত্তা জাপানকেই নিশ্চিত করতে হবে বলেও মনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।তিনি চান, জাপানের ওপর দিয়ে উত্তর কোরিয়ার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে নামানোর সক্ষমতা অর্জন করুক টোকিও।
এর আগে রোববার এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সম্প্রতি জাপানের ওপর দিয়ে দু’বার দূরপাল্লার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া।
এদিকে জাপানি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যদি প্রয়োজন পড়ে তাহলে অবশ্যই আমরা শত্রুর ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে নামাতে পারব।’
প্রসঙ্গত, দু’দেশের মধ্যে কোন ধরনের সামরিক অস্ত্র বিক্রির চুক্তি হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। তবে দুই দেশের মধ্যে সামরিক সখ্য রয়েছে। জাপানে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রিত বহু সামরিক ঘাঁটি রয়েছে।
এদিকে, জাপান নতুন করে আরোপ করা অবরোধের অংশ হিসেবে উত্তর কোরিয়ার ৩৫ গোষ্ঠী ও ব্যক্তির সম্পদ জব্দ করবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন আবে। তিনি বলেন, ‘অপহরণ এবং পিয়ংইয়ংয়ের পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে সৃষ্ট সংকট নিরসনে নতুন করে আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে আমরা উত্তর কোরিয়ার ৩৫ সংগঠন ও ব্যক্তির সম্পদ জব্দ করার সিদ্ধান্ত নেব।’
বিডি প্রতিদিন/ ৭ নভেম্বর, ২০১৭/ ই জাহান