ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের সঙ্গে সৌদি আরবের বিরোধ চলে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে। এর জেরে গেল শনিবার সৌদি আরবের কিং খালিদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে হুথিরা। যদিও সেটি প্রতিহত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে রিয়াদ। এর পরই সৌদি সীমান্ত হুথিদের জন্য সিলগালা করেছে সৌদি। এবার সৌদি আরব দাবি করেছে সীমান্তে ৫০ হাজার মাইন পুঁততে যাচ্ছে হুথি বিদ্রোহীরা।
সৌদি আরবের নেতৃত্বে পরিচালিত যৌথ বাহিনীর মুখপাত্র তুর্ক আল মালিকি সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন।
তিনি বলেন, হুথিরা সৌদি আরবের সীমান্তের ৫০ হাজার মাইন পুঁতে রাখার জন্য পরিকল্পনা করছে।এছাড়া হুথি বিদ্রোহীরা যে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে সেটি ইরানের তৈরি। ইয়েমেনের সেনাবাহিনী এ ধরনের অস্ত্র উৎপাদন করতে পারে না। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এ হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে মালিকি ‘ভলকানো-১’ ও ‘ভলকানো-২’ ক্ষেপণাস্ত্রের দুটি ছবি দেখিয়ে বলেন, ইয়েমেনে ক্ষেপণাস্ত্রের চোরাচালান ঢুকছে এটি পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে।
এদিকে হুথিদের এক মুখপাত্র মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে বলেন, ‘৮০০ কিলোমিটার পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করা হয়। কারণ সৌদি সরকার আমাদের নিরীহ মানুষকে হত্যা করছে। তাই তারা আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র থেকে রক্ষা পাবে না’।
উল্লেখ্য, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের দমনের জন্য ২০১৫ সালে সৌদি আরবের নেতৃত্বে বিমান হামলা শুরু হয়। কয়েক মাস আগে এ অভিযান শেষ করে সৌদি আরব।সৌদি আরবের হামলায় ইয়েমেনে প্রায় ১০ হাজার মানুষ মারা যান এবং আহত হন ৪০ হাজার।
বিডি প্রতিদিন/ ৭ নভেম্বর, ২০১৭/ ই জাহান