দুই কোরিয়ার শীর্ষ নেতাদের মধ্যকার বহুল আলোচিত বৈঠকটি অবশেষে সফল হল। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বৈঠকে অংশ নিতে শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তবর্তী পানমুনজম গ্রামে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন তাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বাগত জানান। ঐতিহাসিক বৈঠকের পরে চব্বিশ ঘণ্টা না যেতেই উত্তর কোরিয়ার সরকার ইতিমধ্যে জানিয়েছে, এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শান্তির নতুন যুগের সূচনা করেছে। সরকারি সংবাদমাধ্যমও দু’দেশের নেতাদের এই উদ্যোগের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
এদিকে, সম্পূর্ণ পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের লক্ষ্যে যে বার্তা দুই কোরিয়া দিয়েছে, তাতে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। উত্তর আর দক্ষিণ- দুই কোরিয়ার শাসককেই আজ অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।
কোরীয় যুদ্ধ ও তার পরবর্তী তিক্ততা ভুলে দুই কোরিয়ার শীর্ষ নেতাদের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইনের হাত মেলানোর ছবি দুই কোরিয়ার খবরের কাগজেই ফলাও করে ছাপিয়েছে। পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে কিম যে ঘোষণাপত্রে সই করেছেন, উত্তরের সরকারি সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ সেই পূর্ণাঙ্গ বক্তব্য তাদের কাগজে ছাপিয়েছে। এই ঘোষণা একতা, শান্তি আর উন্নয়নের রাস্তা খুলে দেবে বলেও জানিয়েছে দেশটির সংবাদ সংস্থা।
পুরোপুরি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের মাধ্যমে পরমাণুমুক্ত কোরিয়া উপদ্বীপ গড়ে তোলার অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া দৃঢ়ভাবে একমত হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার