ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন ইউরোপের শীর্ষ নেতারা। এ বৈঠকে ছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও। বৈঠকের মূল বিষয় ছিল—রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামানো, ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং দীর্ঘমেয়াদি শান্তির পথ খোঁজা।
ইউরোপীয় নেতাদের বক্তব্য
ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে বলেন,  মানুষের মৃত্যু এবং অবকাঠামো ধ্বংস বন্ধ করতে হবে। তিনি ট্রাম্পকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, ট্রাম্প অচলাবস্থা ভেঙেছেন।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেন, আমরা এখানে এসেছি ইউক্রেনের জন্য ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে। তিনি প্রতিটি শিশুকে পরিবারের কাছে ফেরানোর ওপর জোর দেন।
জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস বলেন, পরবর্তী বৈঠক যুদ্ধবিরতি ছাড়া হওয়ার কথা কল্পনাও করা যায় না। এখনই রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়াতে হবে।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলেন, প্রথম কাজ হলো নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এটা ছাড়া কোনো শান্তি টেকসই হবে না।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রন বলেন, আমরা বছরের পর বছর শান্তির জন্য কাজ করছি। আমাদের লক্ষ্য হলো শক্তিশালী ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তি। এজন্য ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের (ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন) ধারণা সবচেয়ে জরুরি।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার বলেন, এটা শুধু ইউক্রেন নয়, পুরো ইউরোপ এবং যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তার ব্যাপার। তাই এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব বলেন, আজকের বৈঠক প্রতীকী অর্থ বহন করছে। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে ইউক্রেনকে সহায়তা করছে। ফিনল্যান্ডের রাশিয়ার সঙ্গে অতীতের অভিজ্ঞতা আছে, তাই আমরা বিশ্বাস করি এবারও সমাধান খুঁজে পাওয়া সম্ভব।
বৈঠকে সবাই মিলে এ বিষয়ে একমত হন যে, যুদ্ধ বন্ধে এবং ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যৌথ উদ্যোগই একমাত্র পথ।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল
 
                         
                                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                        