পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ স্বীকার করেছেন, ভারতের মুম্বাই হামলার উৎস ছিল পাকিস্তানেই! মুম্বাইকে রক্তাক্ত করেছিল পাকিস্তানের জঙ্গিরাই! নওয়াজ শরিফের এমন কথায় ভারতের অভিযোগ এবার যেন সত্যে প্রমাণিত হল।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘ডন’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের মতে, বিশ্ব সন্ত্রাসের আঁতুরঘর যে পাকিস্তান, এবার তা যেন মেনে নিলেন শরিফ। রাওয়ালপিণ্ডির চোখ রাঙানিকে গ্রাহ্য না করে নওয়াজের এমন মন্তব্য দেশটির সরকার ও সেনার মধ্যে বিরোধের আভাস ফের স্পষ্ট হয়ে উঠল। ইসলামাবাদের নীতি নির্ধারকদের রাশ যে আসলে রাওয়ালপিণ্ডির সেনা কর্তাদের হাতে রয়েছে তা গোপন কিছু নয়।
২০০৮ সালের ২৩ নভেম্বর দশ জঙ্গি করাচি থেকে জলপথে মুম্বাইয়ে প্রবেশ করেছিল। তারপর ২৬ নভেম্বর জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত হয়েছিল ভারতের বাণিজ্য নগরী। সসস্ত্র লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিরা হামলা চালায় ভারতের ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস, ওবেরায় হোটেল, তাজ হোটেল এবং লিওপোল্ড কাফেতে। এতে ১৬৬ জন সাধারণ মানুষ প্রাণ হারায়। আহত হয়েছিলেন ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ।
তবে ঘটনার পর তিন দিনের প্রচেষ্টায় জঙ্গিদের নাশ করতে সফল হয়েছিল ভারতীয় সেনা। সেই ঘটনার পর ভারত-পাক সম্পর্ক আরও তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। আর এই পুরো ঘটনা যে পাকিস্তানই ঘটিয়েছে, তা এবার স্বীকার করে নিলেন শরিফ। তিনি বলেন, পাক ভূমিতে ফুলে-ফেঁপে উঠছে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন। নেপথ্যে থেকে কলকাঠি নাড়ছে তারাই। সীমান্ত পেরিয়ে মুম্বাইয়ে প্রবেশ করে দেড়শ' সাধারণ মানুষের প্রাণ নাশ করবে জঙ্গিরা? তা কি কখন হতে দেওয়া যায়?
সংবাদপত্রের পক্ষে শরিফকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, রাউলপিণ্ডি আদালতে কেন মুম্বাই হামলার অভিযুক্তদের মামলা থমকে রয়েছে? জঙ্গি হামলার সমালোচনা করে শরিফ বলছেন, “এমন ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। এটা কাম্যও নয়।'
পাকিস্তানের সরকার ও সেনার মধ্যে বিরোধিতার ছবি স্পষ্ট তুলে ধরে শরিফ বলছেন, যে দেশে পাশাপাশি দু'টি বা তিনটি সরকার চলে সেখানে সমস্যা হবেই। এটা বন্ধ হওয়া উচিত। একটা দেশে একটাই সরকার এবং একটাই নির্দিষ্ট আইন থাকা উচিত।' সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার